আবার উত্তপ্ত মণিপুর, সিআরপিএফের গুলিতে নিহত ১১ কুকি জঙ্গি

সিআরপিএফ বাহিনী। ছবি: এএনআই।

বিগত কিছুদিন ধরেই ফের উত্তপ্ত মণিপুর। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। মুখোমুখি সংঘর্ষ হল সিআরপিএফ বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের। দ্বিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১১ জন জঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের জিরিবাম জেলার জাকুরাদোর করং অঞ্চলে।

পুলিশি সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর আন্দাজ আড়াইটের সময়ে কুকি জঙ্গিরা হামলা শুরু করে। তারা প্রথম আঘাত হানে বড়বেকরা মহকুমা সদরের থানায়। লুঠপাট চালায় বিভিন্ন দোকান এবং বাড়িতে। এর পরে তারা আক্রমণ হানে জাকুরাদোর করংয়ের সিআরপিএফ শিবিরে। পালটা জবাব দেয় সিআরপিএফ বাহিনীও। প্রাণ হারায় ১১ জন। এদের সবাই কুকি জঙ্গি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এই গুলিবর্ষণে আহত ২ জন সিআরপিএফ জওয়ানও। একজনের জখম বিশেষ গুরুতর। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। সেই সঙ্গে খোঁজ মিলছে না ৫ জন স্থানীয়ের। তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে, নাকি তাঁরা নিজেরাই গা ঢাকা দিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।

এই এনকাউন্টারের পর গোটা অঞ্চল জুড়ে শুরু হয়েছে খানাতল্লাশি।


প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেও উত্তপ্ত ছিল জিরিবাম জেলা। মণিপুরের জঙ্গী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট(ইউএনএলএফ) এবং মেইতেই উপজাতির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গলের যুগ্ম বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান এক কুকি মহিলা। পালটা জবাবে এক মেইতেই মহিলাকে হত্যা করে কুকি-জো উপজাতির যৌথ মঞ্চ ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম (আইটিএলএফ)-এর মদতপুষ্ট জঙ্গি বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের উপর রকেট প্রপেলড গ্রেনেড (আরপিজি), মেশিনগান সহ নানা উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আঘাত হানে জঙ্গী দল। পূর্ব ইম্ফল জেলার সাবুংখোক, থামনাপোকপি, সানসাবি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি ইত্যাদি জায়গা থেকে ক্রমাগত সংঘর্ষের খবর এসেছে।