দেশবিরােধী কার্যকলাপ ও সেই সঙ্গে জঙ্গি যােগের অভিযােগে জম্মু ও কাশ্মীরের ১১ জন সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন। ভারতীয় সংবিধানের ৩১১ (২) সি ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারী কমিটি ১১ জনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী সালাউদ্দিনের দুই ছেলের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ১১ জন কর্মীর মধ্যে ৪ জন অনন্তনাগ, ৩ জন বদগামের বাসিন্দা। এছাড়া বাকি শ্রীনগর, পুলওয়ামা ও কুপওয়ারার বাসিন্দা।
অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষা বিভাগে, ২ জন জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বাকিরা কৃষি, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন বিভাগে কাজ করতেন। অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধেই জঙ্গি গােষ্ঠীগুলির সঙ্গে যােগাযােগ রাখার অভিযােগ প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে একজন অভিযুক্ত তিনি নিয়মিত লস্করের মতাে জঙ্গিগােষ্ঠীকে খবর সরবরাহ করতেন। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর উপর নজরদারি চালাতেন। উস্কানি দিতেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে।
জম্মু ও কাশ্মীরে যে দুই পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযােগ রয়েছে। পুলিশ বাহিনীর ভিতরের খবর নিয়মিত সরবরাহ করত তারা। শুধু তাই নয়, একজনের বিরুদ্ধে সরাসরি নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলা চালানাের অভিযােগ রয়েছে।
জঙ্গিগােষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আলাউদ্দিনের দুই ছেলেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অর্থ জোগান দেওয়ার যথেষ্ট অভিযােগ রয়েছে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য এসেছে ভারতীয় সেনার ঘরে। তিন জায়গায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হয়। তাতে ৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন স্থানীয় এবং দু’জন পাক জঙ্গি বলে জানা গেছে। তবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে প্রশাসন মরিয়া হয়ে উঠেছে। জোরকদমে চলছে ‘সর্ষের মধ্যে ভূতের সন্ধান’।