বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় জেলে ফিরল ১১ জন দোষী

নিউ দিল্লি, ২২ জানুয়ারি: আদালতের নির্দেশ মেনে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষী ব্যক্তি জেলে ফিরল। এব্যাপারে আদালতের লক্ষণরেখা ছিল ২১ জানুয়ারি। এই সময়ের মধ্যেই জেলে ফিরল অভিযুক্তরা। অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরতে হবে অভিযুক্তদের। সেইমতো গতকাল রবিবার রাতে জেলে ফিরেছে অভিযুক্তরা। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার গোধরা সাব জেলে আত্মসমর্পণ করে দোষীরা। সংবাদ মাধ্যমকে এই খবর দিয়েছেন গোধরার ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর এনএল দেশাই। এই ১১ জন হলেন বাকাভাই ভোহানিয়া, বিপিন চন্দ্র জোশী, কেশরভই ভোহানিয়া, গোবিন্দ নাই, যশবন্ত নাই, মীতেশ ভাট, প্রদীপ মোরধিয়া, রাধেশ্যাম শাহ, রাজুভাই সোনি, রমেশ চন্দনা ও শৈলেশ ভাট।

প্রসঙ্গত গোধরা দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দোষীদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১১ জনকে মুক্তি দেয় রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক জনস্বার্থ বিরোধী মামলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেই মামলায় গুজরাট সরকারের ওই নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

গত ৮ জানুয়ারির ওই নির্দেশে গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে উল্লেখ করে দেশের শীর্ষ আদালত। এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তদের জেলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দোষীরা বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা, কৃষিকাজ ও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে আত্মসমর্পণের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানান। গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ। অবশেষে আত্মসমর্পণ ছাড়া দোষীদের কাছে আর কোনও পথ খোলা ছিল না। ফলে গতকাল রাতে বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করে দোষীরা।