রাজ্যের বাকি ১০৮ টি পুরসভার ভোট আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন স্থির হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা আছে, আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে।
শেষ তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি। স্ক্রুটিনি হবে ১০ তারিখ, নমিনেশন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ১২। নির্বাচনের আগের আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গেল আজ থেকেই।
রাজ্যের পুরভোট কবে, কীভাবে হবে, এসব নিয়ে বিধানসভার ভোটের আগে থেকেই সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। বাংলার বহু পুরসভারই মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই।
কোথাও ২০১৮ সালে, তো কোথাও ২০২০ তে। এতদিন বিভিন্ন কারণে ভোট হয়নি। তার পরেই এসে গেছে করোনা। থমকে গেছে সব কিছু। এর মধ্যেই এসেছে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন।
তাই পুরভোটের দিন আরওই চাপা পড়ে গিয়েছিল। তারপরে সেই বিধানসভার ভোট মেটার পরেই হয়েছে কলকাতা পুরসভার ভোট। এর পরেই আলোচনা শুরু হয় রাজ্যের সব পুরসভার ভোট নিয়ে।
এর আগে আরও চার পুরসভা শিলিগুড়ি, বিধাননগর, চন্দননগর এবং আসানসোলের পুরভোটের তারিখ ঘোষণা হয়েছে, ১২ ফেব্রুয়ারি।
বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠকে ভিন্ন ভিন্ন দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস।
তৃণমূল দাবি করেছিল, প্রচারের সময় আরও একঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ৯ টা করা হোক। তা এখনও করা হয়নি।
পাশাপাশি, কমিশন যে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন, তারও বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসক দল।
এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে বৈঠকের পরে। দিনক্ষণ জানানোর আগেই, গতকাল বামেরা ৫০-এর বেশি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তালিকা ফেলেছে।
আগামীকাল প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে পারে তৃণমূল। করোনাবিধি মেনে ভোট প্রচারের নিয়মও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
জানা গেছে, খোলা জায়গায় জনসভা করার জন্য ২৫০ জনের পরিবর্তে ৫০০ জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অডিটোরিয়ামে ২০০ লোক থাকতে পারবেন। ইভিএমেই ভোট হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়। হাওড়ার ভোট নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। চন্দ্ৰীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াও বাকি।
তবে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট হবে না। হাইকোর্টের নির্দেশেই এই একটি ওয়ার্ডে আপাতত ভোট ঘোষণা করল না কমিশন।
কিন্তু কী কারণে হাইকোর্ট এই একটি ওয়ার্ডে ভোট না করার নির্দেশ দিলেন? কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, এই বিষয়টি বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না এখন।