গুজরাটের গান্ধীনগরই শুধু নয়, ভুয়ো আইনজীবীর সংখ্যা শতাধিক ছাড়াল গত ৬ বছরে। এমনই ভুয়ো ১০৭ জন আইনজীবীকে বরখাস্ত করেছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া । সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৯ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে দিল্লির ১০৭ জন আইনজীবীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর একটি বিবৃতি দেওয়া হয় বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-র তরফে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’ভুয়ো আইনজীবীদের নির্মূল করার লক্ষ্যে তাদের চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা বজায় রাখতে এবং আইনি ব্যবস্থাকে অনৈতিকতার হাত থেকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ।’
বার কাউন্সিলের আরও দাবি, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কয়েক হাজার আইনজীবীকে তাঁদের শংসাপত্র দেখাতে বলা হয়। যাঁরা বৈধ প্রমাণ ও শংসাপত্র দেখাতে পারেননি, তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বৈধ প্রমাণ দেখাতে না পারার কারণে তাদের নাম আইনজীবীদের নামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গুজরাটের গান্ধীনগরে ভুয়ো আদালতের হদিশ । ভুয়ো আদালত তো বটেই, ভুয়ো বিচারকও ছিলেন সেই আদালতে। ভুল এই বিচারক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বেশ কয়ে বছর ধরে। জমি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই ভুয়ো আদালতের খোঁজ পায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই ভুয়ো আদালত চলছিল। এই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম নাম মরিস স্যামুয়েল ক্রিশ্চিয়ান।
২০১৯ সালের একটি ঘটনার তদন্তে নেমে এই ভুয়ো আদালতের হদিশ মেলে । একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নাগার দায়রা আদালতের রেজিস্ট্রার প্রথমে এই আদালত সম্পর্কে সন্দিহান হন। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো বিচারককে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত মরিস স্যামুয়েলের গান্ধীনগরে একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিসটিকে আদালতের মতো করে সাজিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এর পর নিজেই সেখানে ‘বিচারক’ সেজে বসতেন।