• facebook
  • twitter
Saturday, 11 January, 2025

নিঃসন্তান মহিলাকে গর্ভবতী করলেই ১০ লক্ষ টাকা

এই বিজ্ঞাপন দেখে যাঁরা কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করাতে চাইতো, তাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক ডিটেলস হাতিয়ে নিতেন প্রতারকরা। তারপর শুরু হত ব্ল্যাকমেলিং।

প্রতীকী চিত্র

নিঃসন্তান মহিলাকে গর্ভবতী করতে হবে। তাহলেই মিলবে ১০ লক্ষ টাকা। এই বিজ্ঞাপন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলো ভুয়ো একটি সংস্থা। আর এই বিজ্ঞাপন দেখেই রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিলো বিহারের বেকার যুবকদের মধ্যে। কিন্তু এটা যে আসলে প্রতারণার ফাঁদ, তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি তাঁরা। এরপর যাঁরাই ফাঁদে পা দিয়েছেন, তাঁরাই খুইয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বিষয়টি নজরে পড়তেই তৎপর হয় পুলিশ। এই চক্রের ৩ মাথাকে বিহারের নওয়াদা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।

এর আগে হরিয়ানায় এই জঘন্য ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল এই প্রতারকরা। কিন্তু সেখানকার পুলিশ ধরপাকড় শুরু করলে গা ঢাকা দিয়ে বিহারের নওয়াদা জেলার কাহুয়ারা গ্রামে এসে ঘাঁটি তৈরি করেছিলেন তাঁরা। এই গ্রামে একটা ঘর ভাড়া নিয়ে ‘অল ইন্ডিয়া প্রেগনেন্ট জব সার্ভিস’ নামের এই ভুয়ো সংস্থা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিলো, নিঃসন্তান মহিলাদের গর্ভবতী করলেই মিলবে ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু ব্যর্থ হলেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। যাঁরা পারবেন না তাঁদের ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

এই বিজ্ঞাপন দেখে যাঁরা কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করাতে চাইতো, তাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক ডিটেলস হাতিয়ে নিতেন প্রতারকরা। তারপর শুরু হত ব্ল্যাকমেলিং। টাকার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হত। কেউ কেউ ভয় পেয়ে মোটা টাকা দিয়েও দিয়েছেন। এভাবে ভালই পসার জমিয়ে ফেলেছিল প্রতারকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্দাফাঁস হয়ে গেল একজন গ্রাহক পুলিশে অভিযোগ জানানোয়। তদন্তে নেমে প্রতারণার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিশ।

বিহারের নওয়াদা জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার ইমরোজ পারভেজ জানিয়েছেন, এই প্রতারণা চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন, প্রিন্স রাজা, ভোলাকুমার এবং রাহুল কুমার। তাঁদের হেপাজত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ছ’টি মোবাইল ফোন।

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, গ্রাহকদের ছবি, অডিও রেকর্ডিং, ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও। এই চক্রের নেপথ্যে আরও কারা কারা যুক্ত আছে, তা জানারও চেষ্টা করছে পুলিশ।