দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পর তেলেঙ্গানার সুড়ঙ্গে সন্ধান মিলল আরও এক জনের দেহের। সুড়ঙ্গের মধ্যেই একটি যন্ত্রের সঙ্গে দেহটি আটকে ছিল। যন্ত্রটি কেটে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ জন। যত দিন গড়িয়েছে, তাঁরা আদৌ বেঁচে রয়েছেন কি না তাও বুঝে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তেলঙ্গানার শ্রীশৈলমে ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে পড়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে। সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার গভীরে আটকে পড়েন শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা। এরপরই আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে শুরু হয় অভিযান।
উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। সুড়ঙ্গের মধ্যে কুকুরদের পাঠানো শুরু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রবিবারও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর পাঠানো হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতরে। সুড়ঙ্গের ভিতরে কোথাও কোনও মানুষের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করতে বিশেষভাবে পারদর্শী এরা।
উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের রোবটও। সুড়ঙ্গের শেষ ৭০ মিটারে এই বিশেষ রোবট ব্যবহার করবে উদ্ধারকারী দল। এর আগেই জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র তরফে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে, ওই শেষ ৭০ মিটার অত্যন্ত সংবেদনশীল। উদ্ধারকাজের সময় সামান্য ত্রুটিতে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই রোবট নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় তেলেঙ্গানা সরকার। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে প্রথম দিন থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও উদ্ধারকাজে সামিল হয়েছে ভারতীয় সেনা, নৌসেনা-সহ ১২টি উদ্ধারকারী দলের মোট ৭০০ জন সদস্য। শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা সুড়ঙ্গের যে অংশে আটকে পড়েন, তার অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন উদ্ধারকারীরা।