দিল্লি, ৮ জুলাই– ৩.০ মোদি সরকারের শাসনকালে দেশের বেকারত্ব ঘোচানোই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷ কারণ সরকারি তথ্য অনুসারে গত সাত বছরে দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে লাখে লাখে মানুষ কর্মহীন হয়েছেন৷ তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে রয়েছে৷ সেখানে ওই একই সময়ে ১৩ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন৷ পশ্চিমবঙ্গের পরেই কাজ ও ব্যবসা বন্ধের তালিকায় রয়েছে কর্ণাটক৷ সেক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী এক দশক ধরে বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ করে জীবিকা তৈরি করাই জাতীয় অর্থনীতির ধারক হতে পারে৷
ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে বার্ষিক নমুনা সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷ যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮টির মধ্যে ১৩টি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অসংগঠিত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে কর্মহীন হয়েছেন সাধারণ মানুষ৷ যার মধ্যে সবার উপরে রয়েছে বাংলা৷ এখানে ২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ অর্থাৎ সাতবছরে কর্মহীন হয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ৷
অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে পডে় ক্ষুদ্র ব্যবসা, যা নিজস্ব কিংবা অংশীদারি ভিত্তিতেও হতে পারে৷ এছাড়া হকার এবং ফেরিওয়ালার মতো বৃহৎ পুঁজির ব্যবসা নয় এমন মানুষরা রয়েছেন৷
তারপরের স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু (১২ লক্ষ), উত্তরপ্রদেশ (৭ লক্ষ ৯১ হাজার), অন্ধ্রপ্রদেশ (৬ লক্ষ ৭৭ হাজার), কেরল (৬ লক্ষ ৪০ হাজার), অসম (৪ লক্ষ ৯৪ হাজার) এবং তেলঙ্গানা (৩ লক্ষ ৪৪ হাজার)৷ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে দিল্লি৷ সেখানে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ জীবিকা হারিয়েছেন৷ তারপরে রয়েছে চণ্ডীগড় (৫১ হাজার) এবং পুদুচেরি (৩২ হাজার)৷ জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের হিসাব এর মধ্যে নেই৷
যদিও বিপরীত ছবিও আছে৷ এই সাত বছরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র৷ ২৪ লক্ষ কর্মী সংযোজন করেছে তারা৷ গুজরাতে জীবিকা লাভ করেছেন অতিরিক্ত ৭ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষ৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওডি়শা (৭ লক্ষ ৬১ হাজার), রাজস্থান (৭ লক্ষ ৫৬ হাজার)৷