ভারতে আবশ্যিক টিকা থেকে বঞ্চিত ১৬ লক্ষ শিশু, রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ ‘হু’ এবং ইউনিসেফের 

দিল্লি, ১৫ জুলাই – করোনাকালে অন্যান্য সমস্ত টিকাকরণ কর্মসূচি বাধা পেয়েছিল গোটা বিশ্বে। মহামারী দূর হয়ে যাওয়ার পরও বেশিরভাগ রাষ্ট্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে গেছে। অর্থাৎ অন্যান্য টিকাকরণ কর্মসূচী  আগের মতোই  চলছে। কয়েকটি দেশ এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি।  এদের অন্যতম হল ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এবং রাষ্ট্রসংঘের শিশু কল্যাণ বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সোমবার জেনেভায় জানিয়েছে, ভারতে গত বছর ১৬ লাখ শিশু হাম, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি এবং টিটেনাস বা ধনুষ্টংকারের টিকা পায়নি। শিশুর জন্মের কয়েকদিনের মধ্যেই এই টিকাগুলি দেওয়া বাধ্যতামূলক।  বিশেষ করে সদ্যোজাতদের মৃত্যু ঠেকাতে এই সমস্ত টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ.।

হু এবং রাষ্ট্রসংঘের শিশু কল্যাণ বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ  উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছে, ভারতে গত বছর জরুরি টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ২০২২-এর তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি। সংস্থা দুটি মনে করে, বাস্তবে এই ছবি বিপরীত হওয়া উচিত ছিল। পড়শি দেশ পাকিস্তানও শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে  পিছিয়ে পড়েছে। পিছিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে একই তালিকায় রয়েছে নাইজেরিয়া, কঙ্গো এবং ইথিওপিয়া। এই সব দেশগুলি  মিলে  টিকা থেকে বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা ২৭ লাখ। তার মধ্যে ভারতে টিকা বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা ১৬ লাখ।

২০২০ সালে করোনার সময় ২৫ লাখ শিশু ডিপিটি এবং সাড়ে তিন লাখ শিশু হামের টিকা থেকে বঞ্চিত হয়।করোনার সময় জিরো ডোজ চিল্ড্রেন বা একটিও টিকা পায়নি এমন শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ লাখ হয়ে যায় । এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়  ২০২১ ও ২০২২ সালে । কিন্তু ২০২৩-এ টিকা না পাওয়া শিশুর সংখ্যা কমেছে। 


যদিও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে রাজ্যগুলির ছবি পৃথকভাবে তুলে ধরা হয়নি। কী কারণে এই ব্যর্থতা তারও কোনও উল্লেখ রিপোর্টে নেই। সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে এই কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। তবে ভারতে টিকাকরণের কাজে যুক্ত একটি অসরকারি সংস্থার কর্তার মতে, টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা ভাতা-সহ নানা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্খ্যকর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে নজরদারির অভাবের প্রভাব পড়ছে টিকাদান কর্মসূচিতে। তবে এই রিপোর্ট সম্পর্কে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।