দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি – ভারতের মেয়েদের মধ্যে ক্রমশই বাড়ছে সারভাইক্যাল ক্যান্সার। প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এই ক্যান্সার হয়। এই ভাইরাস আটকাতে টিকা নিলে এবং প্রতিরোধবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই রোগটিকে নির্মূল করা যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসকদের মতে, সারভাইক্যাল ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা খুবই জরুরি। কারণ, বিশ্ব জুড়ে এই অসুখের ফলে যাঁদের মৃত্যু হয় তাঁদের ২৫ শতাংশই এই দেশের মানুষ। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। এবার কেন্দ্রের বাজেটেও উঠে এল মেয়েদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাকরণে প্রাধান্য দেওয়ার ঘোষণা। বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, “এবার থেকে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সরকার ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করবে।”
সারভাইক্যাল ক্যান্সার মূলত ছড়ায় যৌন সম্পর্কের ফলে। এছাড়াও এই ক্যান্সারের কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে। যেমন, ধূমপান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ঘাটতি , ক্রনিক অসুখ, এইচআইভি, একাধিক যৌন সঙ্গী। অনেকের শরীরেই এই ভাইরাস থাকে, অনেক ক্ষেত্রে তা চলেও যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে শরীরে থেকে গিয়ে কোষের পরিবর্তন ঘটায়। সাধারণত ত্রিশোর্দ্ধ মহিলাদের ক্ষেত্রে এই জোরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
হু এর মতে, ভারতের মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৭০ শতাংশ মহিলার সারভাইক্যাল ক্যান্সার পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ, স্তন, ফুসফুস এবং মলাশয়ের ক্যান্সারের পর, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।
তবে কবে থেকে এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে সেসব বিষয়ে এদিন বিস্তারিত কিছু বলেননি নির্মলা সীতারমন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার পর উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে । তারই প্রতিফলন ঘটেছে অন্তর্বর্তী বাজেটে।