দিসপুর, ২২ জানুয়ারি– একদিকে অযোধ্যায় রামমন্দির ঘিরে সমস্ত গুরুত্ব, প্রচারের আলোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অন্যদিকে আরেক নেতা ঢুকতেই পারলেন না আরেক মন্দিরে৷ একদিকে মোদি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করে রামলালার চক্ষুদান করলেন অন্যদিকে অযোধ্যা থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধিকে অসমের বৈষ্ণব সাধক শঙ্করদেবের জন্মস্থান বারদোভায় প্রবেশই করতে দেওয়া হল৷
আর এরপরই ‘আমার দোষ কি’ প্রশ্ন তুলে ধরনায় বসেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, তাঁকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে এই মুহূর্তে অসমের নওগাঁ জেলায় রাহুল গান্ধি৷ কংগ্রেস সূত্রের দাবি, সেই মতো আগে অনুমতিও নেওয়া ছিল৷ কিন্ত্ত শেষ মুহূর্তে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দেন, রাহুলের উচিত মন্দির উদ্বোধনের সময় শঙ্করদেবের জন্মস্থান ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়া৷ এতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে৷
রাহুল অনুমতি না পাওয়ায় কংগ্রেসের তরফে গৌরব গগৈ গিয়ে শঙ্করদেবের মঠে পুজো দিয়ে এসেছেন৷ কংগ্রেস বলছে, ঠিক যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় সাড়ম্বরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করছেন, সেদিনই দেশের প্রধান বিরোধী মুখকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এর চেয়ে দ্বিচারিতা আর কিছু হয় না৷
তা সত্ত্বেও এদিন রাহুল পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ পুলিশ তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি৷ জানিয়ে দেওয়া হয়, রাহুলকে ওই মন্দিরে যেতে হলে বিকেল ৩টে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, রাহুল গান্ধিকে বোর্দো থানায় যেতে দেয়নি প্রশাসন৷ এর পরে রাহুল গান্ধি সেখানেই প্রতিবাদে বসেন৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়কদের শঙ্করদেবের মঠে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ কিন্ত্ত রাহুল গান্ধীকে যেতে দেওয়া হয়নি৷
রাহুল বলেছেন, “আমি শুধু একবার হাতজোড় করে প্রণাম করতে যেতে চাই৷ সেই অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, “আজ মনে হচ্ছে দেশে শুধুমাত্র একজনকেই মন্দিরে যেতে দেওয়া হচ্ছে৷ আমি কী ভুল করেছি যে আমি মন্দিরে যেতে পারছি না, অথচ আমার যাওয়ার অনুমতি আছে৷”