চেতেশ্বর পুজারার কি জাতীয় দলে খেলার দরজা বন্ধ হয়ে গেল! সদ্য শেষ হওয়া রনজিতে সৌরাস্ট্র ফাইনাল খেলতে না পারলেও শুরু এবং মাঝপর্বে দলের হয়ে পুজারা ভাল ব্যাটিং করেছিলেন। নানা মহলে তাঁক নিয়ে কথাও হয়েছিল। বিরাট দলে নেই। চোটের কারনে রাহুল দলের বাইরে। এই মুহূর্তে পুজারার মতো ক্রিকেটার ভাল টাচে থাকার পরও কেন তাঁকে দলে ডেকে নেওয়া হবে না। কিন্তু ডাক পাননি পুজারা। বোর্ডের এক কর্তার কাছ থেকে জানা গেল, পুজারাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাঁকে বাদ দিয়ে জুনিয়রদের দিকে যে চোখ রাখা হয়েছিল, এমন নয়। বলা হয়েছিল, দলের মিডলঅর্ডারে একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দরকার। এই সময় ওকে একবার দলে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ওয়ান ম্যান আর্মির মতো নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগারকার পুজারায় সায় দেয়নি।
উল্টে ডাকার কথা বলেন দেবদূত পাড়িকালকে। কেন! রনজিতে একটি ম্যাচে ওর দেড়শো রানের ইনিংস দেখে মুগ্ধ আগারকার বলেছিলেন, স্পিনটা ভাল খেলে। দেশের মাটিতে যা জরুরি। তাই ওকে দলে নিলে ভাল হয়। সেই মতো পাড়িকাল দলে ঢুকে পড়ে। এখানেই শেষ নয়, ধ্রুব জুরেলও আসেন আগারকারের ভোটে। আগেই ঠিক ছিল রাহুল খেললেও কিপিং করবে না। ঋষভ চোটের কারনে দলের বাইরে। কে এস ভরতের সঙ্গে কাকে রাখা হবে। ভারতীয় এ দলের হয়ে জুরেলের খেলা দেখে আগারকারের মন ভরে যায়। তখন জুরেলকে দলে নিতে বলেন। ভরত ব্যর্থ হওয়ার পর জুরেল প্রতম একাদশে ঢুকে পড়ে। এবং মাঠে নেমে জুরেল ও পাড়িকাল কী করেছে, সে কথা এখন সকলের জানা। তাই আগারকার এখন যা বলবে, সেটাই হবে।
টি২০ বিশ্বকাপের দিকে চোখ রেখে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা নানা মিটিং করছে। আইপিএল দেখে যে দল তৈরি করা হবে তা নয়। মোটামুটি একটা ছকে রাখা হয়েছে। আইপিএলে সকলের নজর থাকবে। তবে সেখান থএকে যে ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া হবে তা নয়। যেমন ঋষভ পন্থ। আইপিএলে ভাল কিপিং করতে পারলে সম্ভবত ঋষভ টি২০ বিশ্বকাপ দলে চলে আসবে। বাকিটা ঠিক আছে। আর জানাই আছে এবার বিশ্বকাপে কাদের সার্ভিস পাওয়া যাবে না। তাই দল তৈরি করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। এখন দেখার বিষয় এটাই যে আগারকারের ভোট কোনদিক যায়। সেটাই কিন্তু এখন ভারতীয় ক্রিকেটে জোর পাচ্ছে।।