• facebook
  • twitter
Friday, 20 December, 2024

ছত্তিশগড়ে আইইডি বিস্ফোরণে ২ সেনা জওয়ান জখম

মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি-র ওপর পা পড়তেই প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এইসব এলাকায় মাওবাদীরা তাদের কার্যকলাপ জারি রাখার জন্য মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকে।

ছবি: আইএএনএস

মাওবাদীদের রাখা আইইডি বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছেন দুইজন নিরাপত্তারক্ষী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায়। আহত জওয়ানদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, জখম জওয়ানরা এদিন মাওবাদী প্রভাবিক এই অঞ্চলে একটি নির্মীয়মান সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিয়ম মাফিক রুটিন টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি-র ওপর পা পড়তেই প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রসঙ্গত এইসব এলাকায় মাওবাদীরা তাদের কার্যকলাপ জারি রাখার জন্য মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকে। সম্প্রতি পুলিশ মাওবাদী অধ্যুষিত শক্ত ঘাঁটি কাছাপাল এলাকায় একটি ক্যাম্প করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে। এই পুলিশ ক্যাম্পের সঙ্গে সংযুক্ত একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানেই মাটিতে চাপা দিয়ে মাওবাদীদের রাখা আইইডি পায়ের চাপে বিস্ফোরণ ঘটে।

পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার এই ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেছেন যে, বিস্ফোরণটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তিনি বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের জন্য এলাকাটি সুরক্ষিত করার সময় দুর্ঘটনাবশত আইইডি বিস্ফোরণ ঘটলে দুই ডিআরজি জওয়ান আহত হন। তাঁদের দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত ছত্তিসগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি বড় মাওবাদী চক্রান্ত ব্যর্থ করার ঠিক একদিন পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। মুদভেন্ডিতে সিআরপিএফ ক্যাম্পের কাছে তল্লাশি অভিযানের সময়, সিআরপিএফ-এর ১৯৯তম ব্যাটেলিয়নের কর্মীরা রাস্তায় পাতানো একাধিক বিস্ফোরক ডিভাইস খুঁজে বের করেন। নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে পাঁচটি আইইডি নিষ্ক্রিয় করে, যার প্রত্যেকটির ওজন পাঁচ কিলোগ্রাম। যার ফলে একটি বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিদ্রোহের মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কাজ করে আসছে। পরিকাঠামো বৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, মাওবাদীরা একের পর এক সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ব্যাহত করে চলেছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যখন বামপন্থী চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অভিযান জোরদার করে চলেছে, তখন এই ধরনের ঘটনা মনে করিয়ে দেয়, নিরাপত্তা বাহিনী ভয়ানক বিপদের মধ্যে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছে।