দিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি: ভোটের মুখে কংগ্রেসের চারটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিল আয়কর দপ্তর। ২১০ কোটি টাকা আয়কর বকেয়ার অভিযোগ জানিয়ে এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আয়কর দপ্তরের।
এব্যাপারে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ও কোষাধ্যক্ষ আজ একথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র আজ আক্রান্ত। লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসকে বিপদে ফেলতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দিয়েছে আয়কর দপ্তর। এমনকি যুব কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একাধিক চেক ফেরত আসায় বিষয়টি তাঁদের নজরে পড়ে।
মাকেন বলেন, তাঁরা ইনকাম ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালে সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচার বিভাগ এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছেও তাঁরা সুবিচার চাইছেন। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিদ্যুৎ বিল ও কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো টাকা নেই। আয়কর দপ্তরের দাবি নিয়ে তাঁরা আইনি পথে লড়াই চালাচ্ছিলেন। অথচ হঠাৎ বিনা নোটিসে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাকেন বলেন,’নির্বাচনের মুখে বিরোধী দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া গণতন্ত্রকেই ফ্রিজ করে দেওয়ার সামিল।’
কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইলেক্টোরাল বন্ড বাতিল হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বিজেপি। সেই কারণে বিরোধী দলকে নিশানা করছে মোদি সরকার। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, বন্ধ হওয়া চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য মেটানো হয়েছিল। আয়করের সিদ্ধান্তে সেইসব পাওনাদাররাও বিপদে পড়েছেন।
এবিষয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অর্থ দেশের গণতন্ত্রের চূড়ান্ত মর্যাদা হানি করা। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ফের বলেন, “বিজেপির সংগৃহীত ‘অসাংবিধানিক’ অর্থ তারা নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করবে, অথচ ‘ক্রাউডফান্ডিং’-এর মাধ্যমে আমাদের সংগৃহীত অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। তাই বলছি ভবিষ্যতে আর কোনও নির্বাচন হবে না। এব্যাপারে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দল রাজপথে নামবে এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।”