অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামো, বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর 

দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি – আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রইল ২০২৪-২৫- এর অন্তর্বর্তী বাজেটে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেটে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে করদাতাদের বড় কোনও ছাড় দিলেন না। তবে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় সংস্কারে জোর দিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি।  তার কারণও জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর ঘোষণা, ‘‘ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।’’ যদিও এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে বেড়েছিল আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। নির্মলা জানান, আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত যে কর কাঠামো বহাল রয়েছে, পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত তার সময়সীমা বাড়ানো হল।

লোকসভা ভোটের আগে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবারের বাজেটে আয়কর ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন আনল না সরকার। অর্থমন্ত্রী জানান, “৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে নতুন কর ব্যবস্থায় কোনও কর নেওয়া হবে না। আয়কর জমা দেওয়ার পদ্ধতি আরও সরলীকরণ করা হল। আগামী ৫ বছরে করদাতাদের সাহায্য করাই আমাদের লক্ষ্য।”
 
সাধারণত লোকসভা ভোটের বছরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হয় নির্বাচনের পরে, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর। সরকারি খরচ ও কাজে যাতে বাধা না আসে, তার জন্য নির্বাচনের আগে ‘ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট’ বা অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হয়। অন্তর্বর্তী বাজেটে সাধারণ ভাবে বড় কোনও ঘোষণা হয় না। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেও অন্তর্বর্তী বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কাউকেই আয়কর দিতে হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। 
 
চলতি বছরই লোকসভা ভোট। তাই এবারে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সুযোগ পায়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবারে ৩ মাসের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ হয়েছে। তাই বড় ঘোষণার অবকাশ বিশেষ ছিল না। নির্মলা জানিয়ে দিয়েছেন, আগের হারেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর দিতে হবে করদাতাদের। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত যে কর কাঠামো বহাল রয়েছে, পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত তার সময়সীমা বাড়ানো হল। অর্থাৎ আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা আগের মতোই থাকছে ৭ লক্ষ টাকা।

কেন আয়করে ছাড় দেওয়া হল না তার ব্যাখ্যা করে নির্মলা বলেন, ‘‘ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।’’ তবে কর আদায়ের পদ্ধতিতে বেশ কিছু সংস্কার ঘোষণা করেছেন নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, করদাতাদের পরিষেবা সহজ করতে ডিসপিউটেড ট্যাক্স বা ট্যাক্স বিবাদের ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১০ পর্যন্ত যাঁদের এই ডিসপিউটেড ট্যাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত  ছাড় দেওয়া হবে। ২০১০ সালের পরে ট্যাক্স বিবাদ থাকলে সেক্ষেত্রেও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে, যার দ্বারা উপকৃত হবেন ১ কোটি করদাতা।