মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হয়নি আরজি কর মামলার শুনানি। শেষ মুহূর্তে এই শুনানি পিছিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পরিবর্তে আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টের সময় সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আজ সকাল ১১টার সময় শুনানির কথা থাকলেও পরে সেই সময়েরও পরিবর্তন করে দুপুর ৩টের সময় করা হয়েছে। পাশাপাশি জানা যায়, রাষ্ট্রপতি ভবনে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলার শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কাছে একাধিক প্রশ্ন জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা থাকায় আদালতে এই সংক্রান্ত হলফনামাও জমা দিয়ে দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শুনানি পিছিয়ে যায়। হলফনামায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা ৪ হাজার ৫২২ জন। একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৩৯ জন সিভিক মোতায়েন রয়েছে।
রাজ্যের পাশাপাশি এদিন সিবিআইয়েরও হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তাঁকে ধর্ষণ–খুনের মামলার পাশাপাশি হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই দুটি মামালার বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
আগের শুনানিতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতি পুনর্গঠন করছে তারা। সেই সঙ্গে হাসপাতালের কাজকর্মে আরও স্বচ্ছতা আনতে ‘সার্বিক হাসপাতাল পরিচালন ব্যবস্থা’ (ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) চালু করা হচ্ছে। অনলাইনে ওপিডি টিকিট বুকিং, ই-প্রেসক্রিপশন, অনলাইন রেফারাল সিস্টেম ইত্যাদি সবকিছুই এই ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে। সেই প্রক্রিয়া কতটা এগোল, তা-ও মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানানোর কথা ছিল রাজ্য সরকারের।
১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন চন্দ্রচূড়। আগামী ৯ এবং ১০ তারিখ অর্থাৎ শনি ও রবিবার হওয়ায় শুক্রবারই শেষ বার তাঁর বেঞ্চ বসবে। সেই হিসেবে বৃহস্পতি বা শুক্রবার মামলার শুনানি না হলে বুধবারই শেষ বারের জন্য আরজি কর মামলা শুনতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি।