দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গ উঠতেই এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি জানান, কেন্দ্রের ট্রান্সজেন্ডার আইনের অনেক আগে ২০১৬ সালে রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার পার্সনস ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্র বা তামিলনাড়ুতে ট্রান্সজেন্ডার কল্যাণ বোর্ড থাকলেও উন্নয়ন বোর্ড রাজ্যেই প্রথম তৈরি হয়েছিল।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ট্রান্সজেন্ডারদের স্বার্থের কথা ভাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অনেক আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ট্রান্সদের উন্নয়নের কথা ভেবে প্রত্যেক জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকী তাঁরা স্বঘোষণার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিচয়ের শংসাপত্র পেতে পারেন। এই শংসাপত্র তাঁদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এছাড়াও ট্রান্সজেন্ডারদের সমস্যা নিয়ে কাজ করার জন্য একটি রাজ্য সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি বিধানসভায় ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন। তাঁর দাবি, সমাজে ট্রান্সদের একঘরে করে রাখার প্রবণতা রয়েছে। সেই কারণে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। এর জেরে তাঁরা ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে তাঁদের কীভাবে বের করে আনা যায় সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের ট্রান্সজেন্ডার উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ট্রান্সজেন্ডারদের মূল দাবি পেনশন বা চাকরিতে সংরক্ষণ নয়, বরং তাঁদের প্রয়োজন সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা। তাঁরা সমাজের অন্যান্য মানুষের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চান।