• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

রোগীর কাছে থেকে একবারই রেজিস্ট্রেশন ফি নিতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাগুলি

রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাসপাতাল যে কারণে রেজিস্ট্রেশন চার্জ নেওয়ার কথা বলছে তা সঠিক নয়।

প্রতীকী চিত্র

বেসরকারি হাসপাতালে কোনও রোগী ডাক্তার দেখাতে এলে তাঁকে একবারই রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। শেকসপিয়ার সরণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন দেবব্রত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ অতিরিক্ত আড়াইশো টাকা দিতে হয়েছিল। ডাক্তারের ফি ছাড়াও কেন রেজিস্ট্রেশন ফি দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
দেবব্রত চক্রবর্তীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের গোটা বেঞ্চ। এরপর ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীকে একাধিক অতিরিক্ত পরিষেবা দেওয়া হয়। হাসপাতালে রয়েছে পরিচ্ছন্ন বাথরুম। তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে লোকের প্রয়োজন। এছাড়াও রোগীর প্রয়োজনে হুইল চেয়ার, ট্রলি রাখা হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার-সহ একাধিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অর্থের প্রয়োজন। তা বাবদই রোগী পিছু টাকা নেওয়া হয়। সব হাসপাতাল সমান টাকা নেয় না। বিভিন্ন হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন ফি’র মেয়াদও বিভিন্ন। অর্থাৎ কোনও হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন ফি’র মেয়াদ ছয় মাস হলে, ছয় মাসের মধ্যে কোনও রোগী ফের ওই হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এলে তাঁকে ফি বাবদ টাকা দিতে হবে না। ফের ছয় মাস পরে তাঁকে টাকা দিতে হবে।
যদিও বেসরকারি হাসপাতালগুলি বক্তব্যকে মান্যতা দিতে চায়নি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাসপাতাল যে কারণে রেজিস্ট্রেশন চার্জ নেওয়ার কথা বলছে তা সঠিক নয়। এর জন্য টাকা নেওয়া যায় না। হাসপাতাল যে নির্দিষ্ট মেয়াদের কথা বলছে তাও অমূলক। সব দিক হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে রেজিস্ট্রেশন চার্জ একবারই নেওয়া যাবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘রেজিস্ট্রেশন চার্জ সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল নেয়। একবার তা নেওয়াই যায়। কারণ প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে একটা রোগীর তথ্য ভাণ্ডার মেইনটেইন করতে হয়। কোনও রোগী যখন প্রথমবারের জন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতালে দেখাতে যান তার নামে একটা ইউনিক পেশেন্ট আইডি তৈরি হয়। তারপরে যতবার সেই রোগী সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে আসবে সেই ইউনিক আইডি-র মাধ্যমেই চিকিৎসা চলে। আইডি টাইপ করলেই বেরিয়ে আসে রোগী আগে কোন অসুখ নিয়ে এই হাসপাতালে এসেছিলেন।’