এল-২০ বাস স্ট্যান্ড। এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের গেট দিয়ে বেরোলেই চোখে পড়বে শতাব্দীপ্রাচীন এই বাস স্ট্যান্ডটি। ডব্লিউবিটিসি, এসবিএসটিসি, এনবিএসটিসি মিলিয়ে দিনে ৩০০-৩৫০টি বাস চলাচল করে এই টার্মিনাস থেকে। শিলিগুড়িগামী ভলভো বাসগুলিও গন্তব্যে পাড়ি দেয় এই এল-২০ বাসস্ট্যান্ড থেকে। মেট্রোর কাজের জন্য এবার ধর্মতলা থেকে সরে যাচ্ছে এল-২০ বাস স্ট্যান্ড। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশনের বাইরেই স্থানান্তরিত হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডটি।
আদালতের তরফেও এল-২০ বাস স্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেখানেই এল-২০ বাস স্ট্যান্ড সরানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত বেশ কিছু বাস ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশনের গেটের বাইরে দাঁড়াবে। নতুন বাস স্ট্যান্ডের জন্য ৪০০০ বর্গমিটার জায়গা চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। ঝাঁ চকচকে ওই টার্মিনাসে টিকিট কাউন্টার, ফুড কোর্ট, শৌচাগার এবং চালকদের বিশ্রামাগার থাকবে। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, নয়া বাস স্ট্যান্ড তৈরিতে যা যা পরিকাঠামো প্রয়োজন তা মেট্রোর তরফে তৈরি করে দেওয়া হবে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ২০২৫-এর জানুয়ারির মধ্যেই পুরনো জায়গা থেকে নতুন জায়গায় সরে যাবে এই স্ট্যান্ড। অবশ্য ওই এলাকা থেকে যে সমস্ত বেসরকারি বাস ছাড়ে, সেগুলির কী হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। শুধু এল-২০ বাস স্ট্যান্ডই নয়, বিধান মার্কেট এলাকাতেও মেট্রোর কাজ চলবে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ও সিধু কানহু ডহরের মাঝামাঝি নতুন মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। দোতলা বিল্ডিংয়ে দোকানঘরের পাশাপাশি ফুড কোর্ট, পার্কিং লট, শৌচাগারও থাকবে।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এল-২০ বাস স্ট্যান্ড যে এলাকায় রয়েছে, সেখানে নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, হাওড়া ময়দান-সেক্টর ফাইভ এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড তিন মেট্রো মিলিত হবে। তিনতলা স্টেশন হবে। যাত্রীরা যাতে এক মেট্রো থেকে সহজেই অন্য মেট্রোয় যেতে পারেন, সেই জন্য বিভিন্ন অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করা হবে।