• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

‘রাজপথ ছাড়ছি না’,  তিন মাস পূর্তিতে ফের স্মরণ করালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা  

আরজি করের ঘটনার পর কেটে গেছে তিন মাস। সেই ভয়াবহ ঘটনার তিন মাস পূর্তিতে আরও বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হল। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হল দ্রোহের গ্যালারি, যেখানে এই দীর্ঘ আন্দোলনের খণ্ডচিত্র তুলে ধরলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা, পোস্টার, ব্যানার, কবিতা, শিল্প, স্থাপত্যের মাধ্যমে। আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে আয়োজন করা হল রক্তদান শিবিরের। এর পাশাপাশি শনিবার ওই তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে রাস্তায় নামল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।

আরজি করের ঘটনার পর কেটে গেছে তিন মাস। সেই ভয়াবহ ঘটনার তিন মাস পূর্তিতে আরও বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হল। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হল দ্রোহের গ্যালারি, যেখানে এই দীর্ঘ আন্দোলনের খণ্ডচিত্র তুলে ধরলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা, পোস্টার, ব্যানার, কবিতা, শিল্প, স্থাপত্যের মাধ্যমে। আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে আয়োজন করা হল রক্তদান শিবিরের। এর পাশাপাশি শনিবার ওই তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে রাস্তায় নামল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল করলেন ফ্রন্টের সদস্যেরা। সেই মিছিলে শামিল হন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব থেকে আপামর মানুষ। মিছিল শেষে ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানালেন,  রাজপথ তাঁরা ছাড়ছেন না। নির্যাতিতার জন্য ন্যায় বিচারের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে। ফের শোনা গেল সেই স্লোগান,’অভয়া তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’ 

 
জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলকে ঘিরে আরও একবার ন্যায় বিচারের দাবিতে মুখর হয়ে উঠল কলকাতা শহর। কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয় মহামিছিল। সেখানে দুপুর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। নির্যাতিতা চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুর ৩টের সময় মিছিল শুরুর ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।আগস্ট মাসের ৮ তারিখ গভীর রাতে নিজের কর্মস্থলে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয় চিকিৎসক ছাত্রীকে। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় পরের দিন ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে।  তারপর থেকেই ওই তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এই মিছিল থেকে দ্রুত তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবিও তোলেন তাঁরা। আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’
 
কলেজ স্কয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের হাতে প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি ছিল ভারতের সংবিধান,  কারও হাতে জাতীয় পতাকা। তাঁদের হাতে ছিল  ‘বিচার চাই’ লেখা পোস্টার । একেবারে সামনের সারিতে ন্যায়ের মূর্তি হাতে এগিয়ে চলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।যাত্রাপথে মিছিলে যোগ দিতে শুরু করেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। শনিবারের মিছিলে যোগ দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, স্নিগ্ধা হাজরা, পরিচয় পাণ্ডা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়রা। স্নিগ্ধা, পরিচয় এবং অনুষ্টুপ অনশন করেছিলেন।
এদিনের মিছিলে উন্নাও, হাথরসের নির্যাতিতার জন্যও বিচারের দাবি ওঠে। জুনিয়র চিকিৎসক  দেবাশিস বলেন, ‘রাজপথ ছাড়ব না।’ তিনি বলেন , ‘সবাই ভাবছেন আমাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ কমছে। কিন্তু ঝাঁঝ যে কমেনি , সেটা যেন সিবিআই, রাজ্য সরকারের মাথায় থাকে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাও বারবার ধাক্কা খাচ্ছে।’
 
অন্য এক জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য বলেন, ‘মনে রাখবেন আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।  আমাদের সঙ্গে জনতার চার্জশিট কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। এই আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলন বিচারের দাবিতে।’  ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন পুলস্ত্য। আরএক আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমরা এক সঙ্গে পথে থাকব। আমরা বিচার চাই। যত দিন বিচার না হচ্ছে, তত দিন রাজপথে রয়েছি, থাকব।’