সরকারি চিকিৎসকেরা অবাধে কাজ করতে পারবেন না বেসরকারি সংস্থায়। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের। স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি ভাবে কর্মরত অবস্থায় চিকিৎসকেরা বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যুক্ত হতে চাইলে এনওসি নিতে হবে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য ভবনের এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই সম্মতি জানিয়েছে নবান্ন।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। ৯ আগস্ট, আরজি করের ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। আর তারপর থেকেই জোরাল প্রতিবাদ শুরু করেন সরকার বিরোধী জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সম্মতি জানিয়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ ‘গণ ইস্তফা’র পথেও হাঁটে।
কিন্তু সেই আবহেই অভিযোগ ওঠে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরেও যুক্ত হচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে। সেখান থেকেও চিকিৎসকেরা রোজগার করছেন। তাই এবার সরকারি চিকিৎসকদের উপর পাল্টা চাপ বাড়াতে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারি করা হলো।
মনে করা হচ্ছে, সরকার-বিরোধী চিকিৎসকদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার জন্যই, বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কাজ করতে গেলে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে নিতে হবে এনওসি, এই নির্দেশ জারি করা হল। পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালের প্রতি ডাক্তারদের দায়বদ্ধতা বাড়ানোও এই সিদ্ধান্তের বড় কারণ।
উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতে গেলে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে নিতে হবে এনওসি, এই আইন ২০১৭ সালের ক্লিনিক্যাল এসটাব্লিশমেন্ট আইনে উল্লেখ রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এতদিন এই আইন নিয়ে কড়া হয়নি স্বাস্থ্য ভবন। তবে এবার তা কড়া ভাবে জারি করা হল স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারদের প্রাইভেটে প্র্যাকটিস নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, আরজি কর নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করলেও কোনও কোনও চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা দিয়েছেন। সেই সংখ্যাটা ৫৬৩ এবং সেটা ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।