• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

জোড়া ১৬ টাকা, ডিমের দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির ফলে কলকাতায় একজোড়া পোলট্রির ডিমের দাম ১৬ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।

আলু, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিলই। এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির ফলে কলকাতায় একজোড়া পোলট্রির ডিমের দাম ১৬ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। দেশি মুরগির ডিম প্রতি পিস ১৫ টাকায় বিকোচ্ছে। হাঁসের ডিমের এক পিসের দাম ১৪ টাকা। বেশির ভাগ জেলায় এই দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। কয়েকটি জেলায় অবশ্য ডিমের দাম কিছুটা কম।

বিভিন্ন বাজারের ক্রেতারা সাফ জানিয়ে দিলেন, আলু-পেঁয়াজের পর এবার ডিমের দাম বাড়লে না খেয়ে থাকতে হবে। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তাঁদের কাছে এই দামে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বড়দিনের কেকের জন্য এই বছর ডিমের চাহিদা আরও বাড়বে। ফলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, কার্তিক মাসে অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশায় ডিমের চাহিদা ছিল না। সেই কারণে ডিমের যোগান কম ছিল। মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণেই ডিমের দাম এতটা বেড়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি ডিমের ট্রে থেকে শুরু করে কার্টুন আনার খরচ বাড়ছে। সেই কারণে শ্রমিকদের খরচ বাড়ছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন সূত্রে খবর, রাজ্যে দৈনিক ৪ কোটির কিছু বেশি ডিমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলায় দৈনিক সাড়ে তিন কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। বাকি ডিমের জন্য ভিনরাজ্যের ওপর ভরসা করতে হয়। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বাকি ডিম কেনে রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে ডিম উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় ভিন রাজ্য থেকে বাড়তি ডিম আমদানি করতে হচ্ছে। সেই কারণেই দাম বেড়ে যাচ্ছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, যে সমস্ত মুরগি ডিম পাড়ে, তাদের খাবারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ভুট্টাই হল এদের খাবারের মূল উপকরণ। দেশে ইথানল কারখানাগুলিতে ভুট্টার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে ভুট্টার দাম বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মুরগির খাবারের উপকরণ গম, সয়াবিন-সহ অন্যান্য সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফলে মুরগির খাবারের দাম বাড়ছে। যার প্রভাবে ডিমের দামও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দ্য কলকাতা এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল দত্ত জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা থেকেই প্রচুর ডিম আমদানি করতে হয়। সেই ডিমের দাম ঠিক করে একটি কমিটি। সেই দাম প্রতিদিন বদলাতে থাকে। সেই দামের ওপর কলকাতার কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না বলে জানান তিনি।