মামলার খরচ যোগানোর টাকা নেই। তাই ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তবে এই আবেদনেরই বিরোধীতা করল সিবিআই। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে জমা দেয় সিবিআই। আগামী সোমবার আদালত জানাবে সন্দীপ ঘোষের আর্জি মানা হবে কি না।
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা ও হাসপাতালের আর্থিক বেনিয়মের মামলায় সন্দীপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। এই দুটি মামলা লড়ার জন্য টাকা নেই বলে ব্যাঙ্কের এফডি ভাঙাতে চান সন্দীপ। এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআইকে এই মামলায় পার্টি হতে বলে। যেহেতু সিবিআই সন্দীপের বিরুদ্ধে দুটি মামলার তদন্ত করছে তাই এই ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাওয়া হয়েছিল। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। সেখানেই সন্দীপের আবেদনের বিরোধীতা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১–২৩ সালের মধ্যে এফডি সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এই সময়ই আরজি কর মেডিক্যালের আর্থিক দুর্নীতি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায় চলছিল। সেই সময়ই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এফআইআর করেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন নন মেডিক্যাল সুপার আখতার আলি। এই কারণে এফডির টাকার বিষয়ে আরও তদন্ত করতে চায় সিবিআই। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে সেই সম্পর্কেও তদন্ত করে জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআইয়ের রিপোর্টে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ সামনে এসেছে। সিবিআইয়ের দাবি, সন্দীপ ঘোষের সময়েই এমবিবিএসের বাছাই পর্বে দুর্নীতি হয়েছে। বিভিন্ন ফোন কলের রেকর্ড, এসএমএস ঘেঁটে এই তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ২০২১ সালের পর থেকেই এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। পুজোর আগেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছিল।