• facebook
  • twitter
Sunday, 27 April, 2025

অভিষেকের তৎপরতায় বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা, আরোগ্য লাভ দুই শিশুর

নিমহানসে দুই শিশুর চিকিৎসা হয়

নিজস্ব চিত্র

বিরল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত দুই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তাদের সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সাংসদের পরামর্শে দুই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন ডাঃ সুরজ হালদার। শনিবার বেঙ্গালুরুর নিমহানস হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বার্থ আস্ফীক্সিয়ায় আক্রান্ত আলমিশা খাতুন এবং স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফিতে আক্রান্ত নেহা মাঝির পরিবার। দুই শিশুর চিকিৎসা এবং দুই পরিবারের থাকা ও খাওয়ার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেছেন অভিষেক খোদ।

সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত নিমহানসে দুই শিশুর চিকিৎসা হয়। ডাঃ সুরজ হালদার তাদের চিকিৎসার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ডাঃ মনপ্রীত এবং ডাঃ রঘুনাথনের বিশেষ টিম আলমিশা খাতুনের চিকিৎসা করেছে। এরপর বাচ্চাটির ওষুধের তালিকায় কিছু রদবদল করেছেন চিকিৎসক। সেই সঙ্গে কলকাতার এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের থেকে ফিজিওথেরাপি করানোর পরামর্শও দিয়েছেন। সাংসদ জানিয়েছেন, শিশুর ফিজিওথেরাপি থেকে ওষুধপত্র-সহ চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবেন তিনি নিজেই।’

অন্যদিকে নেহা মাঝির প্রসঙ্গে ডাঃ সুরজ বলেন, ‘ডাঃ সীমা এবং ডাঃ নালিনীর মেডিক্যাল টিম শিশুর চিকিৎসা করেছে। এরপর শিশুকে রেফার করা হয় বেঙ্গালুরুর আরেক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল ব্যাপটিষ্ট-এ। সেখান থেকেও তাঁকে রেফার করা হয় ভার্গো হেলথ কেয়ারে। সেখানে বসেন স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফির ভারতের সবচেয়ে বড়ো চিকিৎসক ডাঃ ম্যাথুউস, তাঁর সঙ্গে বুধবার দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয়। তাঁর পরামর্শে সাংসদ আশ্বাস দিয়েছেন, শিশুর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তিনিই সরবারহ করবেন।

এছাড়াও ভার্গো এবং কলকাতার দুই মেডিক্যাল টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় শিশুকে জিন থেরাপি দেওয়ারও ভাবনা চিন্তা চলছে।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আশ্বাস, কলকাতায় ফিরে এলে আলমিশার পাশাপাশি নেহার পরিবারকেও চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় সহায়তা প্রদান করবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে আলমিশার মা জানিয়েছেন, ‘আমার সন্তান আগের চেয়ে অনেক সুস্থ আছে। এর জন্য আমি সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ এবং তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।’ নেহার মা বলেন, ‘সাংসদের সহায়তায় ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে এখন আমার সন্তান অনেক সুস্থ আছে। সাংসদের উপর ভরসা রয়েছে।’

পাশাপাশি এদিন ৯ বছর বয়সী ছোট্ট শেখ সমীরউদ্দিনের মুখেও হাসি ফোটালেন অভিষেক। শিশুটির কাছে চলাফেরা-ই ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেবাশ্রয় শিবির থেকে অভিষেকের উদ্যোগে তাকে একটি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয় এদিন। শিশুর পরিবারের জন্য এটি শুধুমাত্র একটি সহায়তা নয় বরং তাঁদের সন্তানের আত্মনির্ভরশীলতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও।