• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গোল্ডেন বেরি ফলের ক্ষমতা অপরিসীম

এটি ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং খনিজে পরিপূর্ণ থাকে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। সেজন্য ব্লাড সুগার, ইনসুলিন এবং লিপিডের উন্নতি ঘটায়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ফলটি খুবই উপকারী। ওজন হ্রাস, হৃদরোগ এবং আলঝাইমার রোগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।

আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান ফল রাখি। সেই সব ফলের এক একটির খাদ্যগুণ এক একরকম। কিন্তু এমন অনেক ফল আছে, যা দেখতে অতি ক্ষুদ্র। আমরা হয়তো তার নাম জানিনা। এমনকি সেই ফলকে অতটা গুরুত্বও দিই না। অথচ তা শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এমনকি প্রতিদিন নিয়ম করে দু-চারটি এই ক্ষুদ্র ফল খেলেই শরীরকে অনেক দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্ত রাখে। এমনই একটি মূল্যবান ও সুস্বাদু ফল হল গোল্ডেন বেরি। যা ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

আকারে অতি ক্ষুদ্র হলেও কমলা রঙের এই ফলটি দেখতে খুবই সুন্দর। অনেকটা ছোট টমেটোর মতো। এক এক জায়গায় এই ফলটি মানুষ এক এক রকম নামে চেনে। কেউ কেউ রসভরি, কেপ গুজ বেরি, গোল্ডেন বেরি, ইনকা বেরি এবং গ্রাউন্ড বেরি নামে চেনেন। খেতেও ভারী সুস্বাদু। রসপূর্ণ এই ফলে টক ও মিষ্টি স্বাদের সমাহার। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে শরীরে এটি ওষুধের মতো কাজ করে। কারণ সাধারণত চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের আন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খেতে বলেন। সেক্ষেত্রে এই ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোল্ডেন বেরি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি করে। এটি রোগীর দেহে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

বিশেষ করে টাইপ -২ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি একটি ফল। এটি ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং খনিজে পরিপূর্ণ থাকে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। সেজন্য ব্লাড সুগার, ইনসুলিন এবং লিপিডের উন্নতি ঘটায়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ফলটি খুবই উপকারী। ওজন হ্রাস, হৃদরোগ এবং আলঝাইমার রোগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্টি হয়। গোল্ডেন বেরি যে ফাইবার ও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়, তা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

জানা গিয়েছে, গোল্ডেন বেরি প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ থাকে। যার ফলে এই ফল খেলে রোগীর দেহে সাধারণত ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না। ডায়াবেটিসে রক্তের শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হলে কিডনির ক্ষতি, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, হৃদরোগ ও স্নায়ুর ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। যা গোল্ডেন বেরি অনায়াসে প্রতিরোধ করতে পারে।

সাধারণত গোল্ডেন বেরি ফল সকালে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে খেলে খুবই উপকার হয়। প্রতিদিন ন্যূনতম দুটি থেকে চারটি করে ফল খেলেই উপকার বোঝা যায়।