অবশেষে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় রেহাই পেলেন তৃণমূল বিধায়ক ও চিকিৎসক নির্মল মাজি। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি প্রমাণিত না হওয়ায় ‘ক্লিনচিট’ দিল এমএলএ-এমপি-দের আদালত। ঘটনাটি ২০১৫ সালে। তিনি তখন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি। এই বছরের জুন মাসে এসএসকেএম-এর নেফ্রোলজি বিভাগে একটি কুকুরের ডায়ালিসিস করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক জলঘোলা হয়। এই ঘটনার জেরে নির্মল মাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মীয়ের কুকুরের ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অর্থ তছরুপের অভিযোগ তোলা হয়।
২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মাজির বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ৪৩৪ ধারায় মানি লন্ডারিং ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের পাবলিক ফার্ম ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ করা হয়। এমএলএ-এমপি-দের আদালতে এই অভিযোগ তোলা হয়। চিকিৎসক কুণাল সাহা এই অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রায় সাত বছর ধরে সেই মামলার শুনানি চলে। এই সেই মামলার নিষ্পত্তি হল। এই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর দশ বছর জেল হতে পারতো বলে আদালত সূত্রের খবর।
আজ সেই মামলার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্টে কিছুই পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। এই এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এরপর থেকে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি। সেজন্য আজ, সোমবার এমএলএ-এমপি-দের আদালতের বিচারক দেবদত্ত রায় শর্মা তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিল।