ছুটে চলা জীবনে এখন খাবারের পেছনে ৫ মিনিট সময় ব্যয় করাও যেন জীবনে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়৷ অভ্যাসে যেসব ক্ষতিব্যস্ত জীবনযাপনে নাওয়া খাওয়ারও যেন সময় হয়ে ওঠে না৷ হাজারটা কাজ শেষে ঘুমাতে দেরি হয়৷ তাই দিনের শুরুটাও হয় দেরিতে৷ ক্লাস হোক বা অফিস আরাম করে সকালের খাবার আর খাওয়া হয়ে ওঠে না৷ তেমনি দুপুরে কাজের ফাঁকে বা টিফিন টাইমে চট করে দুটো খাবার মুখে তুলেই আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া৷
তবে জানেন কি তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার অভ্যাস যে মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়৷ দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে৷ তাই শুরুতেই সতর্ক হওয়া জরুরি৷
ভাবছেন দ্রুত খেলেই বরং কমবে ওজন বাড়বে কেন! কেননা যখন আমাদের শরীরে খাবারের প্রয়োজন মেটে তখন মস্তিষ্কে বার্তা যায় যে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ তখন আমরা বুঝতে পারি যে পেট ভরে গেছে৷ এখন আপনি যদি দ্রুত খাবার খেতে থাকেন তবে মস্তিষ্কে সঠিকভাবে বার্তা পৌঁছাতে পারে না৷ ফলে শরীর ঠিকভাবে বুঝতে পারার আগেই আপনি অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলেন৷ যে কারণে বেড়ে যেতে পারে আপনার ওজন৷ তাই ধীরে-সুস্থে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা৷
বদহজম
হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে খাবার থেকে শরীর পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না৷ অনেক সময় হয়তো আপনি খাবার না চিবিয়েই গিলে ফেলেন৷ এতে খাবার ঠিকভাবে চূর্ণ হওয়ার সুযোগ পায় না৷ যে কারণে দেখা দিতে পারে বদ হজমের সমস্যা৷ দ্রুত খেলে গলায় খাবার আটকে যেতে পারে৷ এতে হেঁচকি ওঠার সমস্যাও হতে পারে৷ যে কারণে খাবারের মধ্যে অনেকবার জল খেতে হয়৷ এতে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষমতা কমে যায়৷ এতেও হতে পারে বদহজমের সমস্যা৷
ডায়াবেটিস
খাবারের সঙ্গে ডায়াবেটিসের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে৷ ডায়াবেটিসের শিকার না হতে চাইলে খাবার খেতে হবে নিয়ম মেনে৷ শুধু উপকারী খাবার খেলেই হবে না, খেতে হবে সঠিক প্রক্রিয়ায়৷ দ্রুত খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়৷ ফলে ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন৷ তাই ধীরে-সুস্থে খাওয়ার অভ্যাস করুন৷