• facebook
  • twitter
Thursday, 17 April, 2025

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি গেম-চেঞ্জিং টিপ্‌স

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলি সম্পর্কে আরও গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করলে, রক্তে শর্করার পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক হওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলি সম্পর্কে আরও গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করলে, রক্তে শর্করার পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক হওয়া সম্ভব। এই কৌশলগুলি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জার্নিকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।

১. দ্বিতীয় খাবারের প্রভাব বুঝুন

আপনি কি জানেন যে, আপনার পেটে থাকা খাবার আপনার শরীরে যাওয়া পরবর্তী খাবারের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় বা সেটাকে প্রভাবিত করতে পারে? প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ সুষম খাবার, কেবল তা গ্রহণ করার পরে রক্তে শর্করার স্পাইককে নিয়ন্ত্রণ করে না- বরং পরবর্তী খাবারের গ্লাইসেমিক প্রতিক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, খাদ্য পরিকল্পনা মাফিক গ্রহণ করলে, সারাদিন ধরে তা গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণকে উন্নত করতে পারে।

২. খাবারের সময় এবং ক্রমকে অগ্রাধিকার দিন

আপনি কখন এবং কীভাবে খাচ্ছেন, তা যতটা গুরুত্বপূর্ণ- ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ কতটা পরিমাণে আপনি কী খাবার খাচ্ছেন। জানবেন দিনের শুরুতে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া, অতিমাত্রায় ইনসুলিন-সেনসিটিভ হয়ে উঠতে পারে। উপরন্তু কার্বোহাইড্রেটের আগে প্রোটিন ও স্টার্চমুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি খাওয়া, গ্লুকোজ শোষণের গতি ধীর করতে ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্থিতিশীল করতে পারে।

৩. খাবারের আগে এবং পরে ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন

ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি ভিত্তি, তবে সময় নির্ধারণ কৌশলগতভাবে এর সুবিধাগুলি বাড়িয়ে তোলে। খাবার খাওয়ার আগে হাঁটা বা স্ট্রেচিংয়ের মতো হালকা ওয়ার্কআউট কিন্তু ইনসুলিন-সংবেদনশীলতাকে বাড়ায়। একইভাবে মনে রাখবেন, খাবার-পরবর্তী হাঁটা গ্লুকোজের স্পাইকগুলিকে দুর্বল করে দিতে পারে- যা সামগ্রিক গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণকে উন্নত করে।

৪. একটি নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন

বিপাকীয় স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের পরিমাণে ঘাটতি হলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়, যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে, ৭-৯ ঘণ্টা ধারাবাহিকভাবে ঘুমনোর চেষ্টা করুন।

৫. কম ক্যালোরি-যুক্ত পানীয় দিয়ে হাইড্রেটেড থাকুন

ডায়াবেটিস ম্যনেজমেন্টে জল বা ভেষজ চা হল কম ক্যালরির চমৎকার বিকল্প। এটি বিপাকীয় কার্যকারিতা এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকে সামলাতে সক্ষম। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি-যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা জরুরি। এই কৌশলগুলি গ্রহণ করা কেবল রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণেই সাহায্য করে না, সামগ্রিক সুস্থতাতেও এর ভূমিকা আছে। আপনার রুটিনে এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি আনলে, সময়ের সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে স্বাস্থ্যোন্নতি হবে।