নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে এসে ঘরবন্দী, রোষের মুখে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে যোগদান করতে গিয়েছিলেন তিনি। যেখানে তাঁকে ঘিরে জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

ডাঃ দত্ত চৌধুরী আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। সেখানকার আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিতে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হয় এবং পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।

বৃহস্পতিবার তিনি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে যোগ দিতে গিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে ঢোকার পরেই তাঁকে ঘেরাও এবং ঘরবন্দী করা হয়। জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানান, ডাঃ দত্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত অভিযোগ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে যোগদান করতে দেওয়া হবে না।


গত ৯ই আগস্ট আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় স্নাতকোত্তরে পাঠরত এক মহিলা চিকিৎসককে। উল্লেখ্য, তিনি ছিলেন চেস্ট মেডিসিন বিভাগেরই প্রশিক্ষণকারী ডাক্তার। যে বিভাগের প্রধান ছিলেন ডাঃ দত্ত চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠায় তাঁর অপসারণ দাবি করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। অবশেষে স্বাস্থ্য ভবনের আদেশানুসারে তাঁকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যেখানে তিনি ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী বৈঠক করা হবে এবং সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।