একাগ্রতা বাড়াতে কার্যকর মেডিটেশন

প্রতীকী চিত্র

বর্তমানে টেকনোলজির সুবাদে, চারপাশের বিক্ষুব্ধ পৃথিবীর আঁচ আমাদের গায়ে এসে লাগছে সরাসরি। কম-বেশি আমরা সবাই কিছু না কিছু ক্ষতির মুখ দেখেছি মহামারী-পরবর্তী অধ্যায়ে। আর্থিক ক্ষতি, কর্মহীন হয়ে পড়ার মতো অনিশ্চয়তা তো আছেই, রয়েছে পেশাদারী ক্ষেত্রের অতিরিক্ত চাপও। আগামী দিনেও যে কী হবে, সে সম্পর্কে কারও কোনও আন্দাজ নেই। যত দিন যাবে, এই চরম অনিশ্চয়তা তত বেশি বাড়বে।

প্রাচীন ভারতীয় যোগচর্চার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল ধ্যান বা মেডিটেশন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সুনিশ্চিত করার জন্য, সমস্ত চিন্তাশক্তি ও একাগ্রতাকে সঙ্গবদ্ধ করার এই পদ্ধতিকেই অবলম্বন করুন। মেডিটেশনই আপনার স্ট্রেসফুল জীবনে বয়ে আনতে পারে শান্তি।

স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি বাড়লে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দনের গতিও। মেডিটেশনের অভ্যেস সেই গতি কমাতে পারে। রাগের উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করে ধ্যান। অনেক সময় আমরা রাগত অবস্থায় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। বলা হয়, যারা নিয়মিত মেডিটেশন করেন, তাদের দম্ভ ক্রমশ হ্রাস পায়। আত্মার সঙ্গে গড়ে ওঠে নিবিড় সখ্যতা। মনের মধ্যে যে-সব রাগ আর ক্ষোভ আমরা পুষে রাখি, তার অনেকটা থেকেই মুক্তি দেয় নিয়মিত ধ্যানের অভ্যাস।মন শান্ত হলে নিয়ন্ত্রণ আসে রাগের উপর। রাগ কমে এলেই মানুষের মায়া-দয়া ও সহনশীলতা বাড়ে। সব মিলিয়ে আপনি মানসিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন অনেক ভালোভাবে।


মনঃসংযোগ করতে সমস্যা হতে পারে খুব স্ট্রেসফুল জীবনশৈলী হলে। পেশাদার জগতের চাপে, আমাদের প্রত্যেকের চিত্তই কম-বেশি বিক্ষুব্ধ। হয় এই অবস্থায় মন দিয়ে কোনও কাজই করা যায় না। কিন্তু মেডিটেশন মানেই মন আর চিন্তাভাবনাকে সংযত করার অভ্যাস গড়ে তোলা। ধ্যানের পদ্ধতি আপনার আয়ত্তে থাকলেই আপনার মনোযোগও বাড়বে।