• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

ধরনাস্থলে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা

সুপ্রিম কোর্টের শুনানি 'সন্তোষজনক' বলে মনে করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা  

কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কোনও কোনও  মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁদের কর্মবিরতির জন্য মারা যাচ্ছেন রোগীরা।  এমনকি এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ সওয়ালও করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য নাকি ইতিমধ্যে ২৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু এ কথা সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, যেখানে মেডিক্যাল কলেজই নেই, সেখানে রোগীমৃত্যুর জন্য কীভাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা দায়ী হতে পারেন! পাশাপাশি আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবারের শুনানি যথেষ্ট সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

আজ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, আন্দোলনের পাশাপাশি সেখানে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। একদিকে প্রতিবাদের স্লোগান চলছে, চারদিকে নানা স্লোগান লেখাও রয়েছে। গরমের মধ্যে ফ্যান নেই। এই অবস্থার মধ্যেই তাঁরা রোগী দেখে চলেছেন। পাশে রাখা রয়েছে একগাদা ওষুধ। এখানে সিনিয়র চিকিৎসকরাও তাঁদের ডিউটি শেষ করে এসে রোগী দেখছেন। বহু সাধারণ মানুষ তাঁদের জন্য নিয়ে আসছেন খাবার।

সিনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন,’ আসল লড়াইটা তো ওরাই চালাচ্ছে। আমরাও এইভাবে ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।’ সাধারণ মানুষের এবং সিনিয়রদের এই ব্যবহারে কৃতজ্ঞ জুনিয়র চিকিৎসকরা।তাঁরা বলছেন, ‘ওঁরা সবাই পাশে না থাকলে এতো বড়ো লড়াইটা আমরা হয়তো চালিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম না। এতো বিশাল দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আমরা প্রতিদিন অর্জন করছি।’ কর্মবিরতির পাশাপাশি ‘অভয়া ক্লিনিক’ খুলে রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। সেই শুনানি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত আরজি করের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার দেবদূত ভদ্র বলেছেন, ‘আজকের শুনানি যথেষ্ট সন্তোষজনক। আইনজীবী আমাদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরেছেন। আমরা জিবি করে আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব। তবে আরজি করে যা যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার সবটা এখনও হয়নি। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি কিংবা নিরাপত্তারক্ষী এখনও মোতায়েন হয়নি। আমরা চাই সেগুলো দ্রুত করা হোক।’