দিশা হালপাতালের উদ্যোগগুলির মধ্যে চক্ষুদানের প্রচারাভিযান বেশ সফল হয়েছিল। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠান একটি স্বেচ্ছাসেবী এআই ভিত্তিক ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি স্ক্রিনিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। সদ্য সমাপ্ত হওয়া ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় জনগণের কল্যাণে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন করে। সাধারণের মধ্যে চক্ষু সচেতনতা তৈরি করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
পূর্ব ভারতের একটি উন্নত আই কেয়ার চেইন হিসাবে পরিচিত দিশা চক্ষু হাসপাতাল। চোখের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতার মধ্যে সংযোগ তুলে ধরার কাজে তারা সক্রিয়। বইমেলায় দিশা চক্ষু হাসপাতাল বিবলিওফাইলদের জন্য, বিনামূল্যে এআই ভিত্তিক ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি স্ক্রিনিং শিবিরের আয়োজন করে। এতে কর্নিয়া দানের প্রয়োজনীয়তা, কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাঁদের মূল্যবান দৃষ্টিশক্তি হারানো থেকে বাঁচাতে পারে- তা প্রচারের কাজও করা হল। এই উদ্যোগটি ডায়াবেটিস সম্পর্কিত চোখের জটিলতার ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সমাধান করতে পারে। এই স্ক্রিনিং -এ রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণেও কার্যকর।
শুধু জনহিতকর কাজেই নয়, বৃহত্তম কর্নিয়া সংগ্রহকারী সংস্থা হিসাবে, দিশা আই হসপিটালস পূর্ব ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম আই ব্যাঙ্ক ইউনিট, যা চক্ষুদানের প্রয়োজনীয়তা বাড়াতে প্রচার চালাচ্ছে। এই মহৎ কাজে আরও বেশি অবদান রাখতে তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাঁরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে এগিয়ে যেতে এবং চক্ষুদান করতে প্রস্তুত। বইমেলায় দিশার উদ্যোগে জনসাধারণের অংশগ্রহণ, তাদের সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।