• facebook
  • twitter
Tuesday, 29 April, 2025

হাসপাতালের সাফল্যে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

ম্যারাথন অপারেশন

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলার মুকুটে নয়া পালক জুড়ল এসএসকেএম হাসপাতাল। ম্যারাথন অপারেশন করে নজির গড়ল এসএসকেএম। ১৫ জন চিকিৎসকের দল মাত্র ৫ দিনে ১৮৫ জন রোগীর বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। রাজ্যের বুকে তো বটেই, দেশের ইতিহাসেও এই ঘটনা নজিরবিহীন। সরকারি হাসপাতালের এই সাফল্যে আপ্লুত খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো, চিকিৎসার উন্নত মানের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমাদের নিজেদের সুপার স্পেশ্যালিটি সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম এক নতুন রেকর্ড গড়েছে! গত ৫ দিনে অপেক্ষমাণ ১৭৫টি গলব্লাডার অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।’

তাঁর সংযোজন, ‘এটি ছিল একটি বিশেষ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে অপেক্ষমাণ গলব্লাডার রোগীদের অস্ত্রোপচার দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে প্রমাণিত হয়েছে যে, যদি আমাদের চিকিৎসকরা একসঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে কী অসাধ্য সাধন করা সম্ভব! সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অর্থাৎ এই ৫ দিনে আরও ৩৯০টি বড় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, যা এই বিশেষ উদ্যোগের বাইরে।’ সেই সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অনন্য সাফল্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর আহ্বান, অপেক্ষমাণ রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য যাতে দেশের সমস্ত হাসপাতাল এই মডেল অনুসরণ করে ‘মিশন মোড’ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৬০০-রও বেশি গলব্লাডারের মাইক্রোসার্জারি বাকি ছিল। দ্রুত রোগীদের সুরাহা করতেই এই ম্যারাথন অস্ত্রোপচারের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ। লক্ষ্য ছিল, ২০০টি অস্ত্রোপচার শেষ করার। এর মধ্যে পাঁচ দিনে ১৮৫টি সফল অস্ত্রোপচার করেছেন সংশ্লিষ্ট সার্জারি বিভাগের ১৫ জন চিকিৎসক। এক কথায়, এটি অসাধ্য সাধন। যাদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তাঁদের কারও বয়স ১৪ বছর, কারও আবার ৮২। এমনকি, নিজ ছুটি বাতিল করেও কাজ করে গিয়েছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দাবি, নানা কারণে অস্ত্রোপচারের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। এদিকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীর চেয়ে বেশি সংখ্যক রোগীর অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব নয়। তাই চাপ কমাতে চিকিৎসকরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা সকলে একসঙ্গেই একাধিক অপারেশন করবেন। সংশ্লিষ্ট সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক দীপ্তেন্দ্র সরকারের ভাষায়, ‘এটা ডাক্তারদের কুম্ভ। মানুষের উপকারের জন্য চিকিৎসক এবং কর্তৃপক্ষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তা প্রশংসনীয়। ভিশনারি স্টেপ এটি।’ সূত্রের খবর, এত কম সময়ে এতগুলো সফল অস্ত্রোপচারের নথিপত্র রিসার্চ পেপার হিসাবেও প্রকাশ করার কথা ভাবছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।