অক্টোবর হল স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, প্রাথমিক সনাক্তকরণের প্রচার এবং এই রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করার জন্য, অক্টোবর জুড়ে নানা করেমসূচি পালন করা হয়। এর লক্ষ্য হল ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে মহিলাদের সচেতন করা, ম্যামোগ্রামের মতো নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্ব এবং অসতর্ক জীবনযাত্রা কীভাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করতে পারে- সে সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা। জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন কীভাবে আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, তা বোঝার জন্য কয়েকটি বিষয়কে সামনে আনা দরকার।
শরীরের অতিরিক্ত চর্বি অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে মেনোপজের পরে, ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা এবং হরমোনের মাত্রা স্থিতিশীল রাখার মতো প্রক্রিয়া, ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মা হওয়ার পর বেশ কয়েক মাস ধরে বুকের দুধ খাওয়ানো, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। বিশেষ করে যে-মহিলারা এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের সম্ভাবনা কম। এটি হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং মা ও শিশু উভয়ের জন্যই সুরক্ষা প্রদান করে।
ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি এইচআরটি-র প্রয়োজন হয়, তবে এটি খুব অল্প মাত্রায় এবং স্বল্পতম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
সিটি স্ক্যানের মতো কিছু মেডিকেল ইমেজিং পদ্ধতি শরীরকে বিকিরণের সংস্পর্শে নিয়ে আসে, যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। শুধুমাত্র চিকিৎসাগতভাবে প্রয়োজন হলে তবেই এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করুন কিন্তু যদি সম্ভব হয় এড়িয়ে চলাই ভালো।