অ্যাজমা নেটওয়ার্কটা বেশ বড় এবং খানিকটা জটিল, কারণ মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকলে বাঁচার তৃপ্তি অর্জন করা যায়। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ দূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই অ্যাজমা রোগীদের দূষণ থেকে নিজেদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। অ্যাজমার দৌরাত্ম বাড়ছে। অ্যাজমা তার প্রধান কাজকর্ম, ফুসফুসকে হেডকোয়ার্টার বানিয়েই শুরু করে।
অ্যাজমা কাদের হয়?
বেশীর ভাগ মাঝ-বয়সি পুরুষ ও মহিলা অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হন। বিশেষত যাঁরা অত্যাধিক ধূমপান করেন ও যাদের শরীরে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে। আবার কারও কারও বাড়ির ধুলো, রান্নার ধোঁয়া, ফুলের রেণুতেও শ্বাসকষ্ট হয়। এছাড়া যাঁরা এগজিমা রোগে দীর্ঘদিন ভুগছেন, তাঁদেরও অ্যাজমা হতে পারে। এছাড়া বিছানায় থাকা ডার্মাটোফাইট ছত্রাক দ্বারাও মানুষ আজমায় আক্রান্ত হয়।
অ্যাজমা দুই রকম হয়। অ্যকিউট এবং ক্রনিক।
অ্যকিউট অ্যাজমা: (১) প্রধানত প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশি ও অ্যালার্জির জন্য হয় (২) রাতে ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে অ্যাজমার জন্য (৩) বুকের চাপ বাড়ে (৪) বুকে সাঁই সাঁই শব্দ হয় (৫) বুক ধড়ফড় করে এবং খুব ঘাম হয়।
ক্রনিক অ্যাজমা: (১) দীর্ঘ মেয়াদী অ্যাজমার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট চলবে (২) বুকে সাঁই সাঁই আওয়াজ বা টান অনুভব হয় (৩) টানের সঙ্গে কাশি কফ, নাক দিয়ে জল পড়ার লক্ষণ থাকে (৪) শীতকালে এই ক্রনিক অ্যাজমার কষ্ট বাড়ে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ অনুযায়ী কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন- এরালিয়া, আর্সেনিক, ব্ল্যাটা ওরিয়েন্ট, কার্বো-ভেজ, হিপার প্রভৃতি। তবে কখনওই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
সাবধানতা
অ্যাজমা অবহেলা করা উচিত নয়।
অ্যাজমা রোগীদের ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে যে-কোনও সময়ে।
যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকা উচিত।
অ্যাজমা একবার হলে চিন্তা নেই। কিন্তু বারবার হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
অ্যালার্জি জনিত অ্যাজমা হলে অ্যালার্জি টেস্ট করে যে-বিষয়ে অ্যালার্জি, তা বর্জন করা উচিত।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অ্যাজমা রোগীদের সর্বদা সচেতন ও সতর্ক থাকা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।