• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মাত্র ৪ টাকা প্রতি কিমিতেই ছুটবে গাডি়, বড় পরিকল্পনা আম্বানীর

দিল্লি, ১১ এপ্রিল– পেট্রোল হোক বা ডিজেল, লিটার প্রতি দাম ১০০ টাকার আশেপাশেই৷ তবে খুব শিঘ্রই এই দাম থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন মানুষ৷ গাডি়র জ্বালানির পিছনে শুধুমাত্র ৪ টাকা খরচের দিকে এগোতে চলেছেন মুকেশ আম্বানী৷ শিল্পপতি মুকেশ আম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বের নামকরা সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতেই তৈরি করতে চলেছেন গ্রিন

দিল্লি, ১১ এপ্রিল– পেট্রোল হোক বা ডিজেল, লিটার প্রতি দাম ১০০ টাকার আশেপাশেই৷ তবে খুব শিঘ্রই এই দাম থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন মানুষ৷ গাডি়র জ্বালানির পিছনে শুধুমাত্র ৪ টাকা খরচের দিকে এগোতে চলেছেন মুকেশ আম্বানী৷

শিল্পপতি মুকেশ আম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বিশ্বের নামকরা সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতেই তৈরি করতে চলেছেন গ্রিন হাইড্রোজেন ও গ্রিন অ্যামোনিয়া৷ ভারতে আনুমানিক ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো৷ গুজরাতের দীনদয়াল পোর্ট অথরিটিতে (কান্দলা পোর্ট) বিনিয়োগ করতে চলেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ৷ গ্রিন হাইড্রোজেন এবং গ্রিন অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চলেছে৷ লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল এন্ড টি), গ্রিনকো গ্রুপ এবং ওয়েলসপন নিউ এনার্জির মতো সংস্থাগুলির সহযোগিতায় এই প্ল্যান্টগুলি স্থাপন করা হবে৷ জানা গিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরেই এই বিদেশি সংস্থাগুলি দীনদয়াল বন্দরের কাছে জমি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছিল৷ চারটি কোম্পানি মিলে ১৪টি প্লট কেনার পরিকল্পনা করেছিল, যার একেকটি প্লট প্রায় ৩০০ একর৷ এভাবে মোট প্রায় ৪০০০ একরের জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা৷

সূত্রের খবর, দীনদয়াল বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে৷ প্রতিটি প্লটে বছরে ১০ লাখ টন গ্রিন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা সম্ভব৷ এই ১৪টি প্লটের মধ্যে ৬টি প্লট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে, ৫টি এল এন্ড টি-কে, ২টি গ্রিনকো গ্রুপকে এবং ১টি ওয়েলসপন নিউ এনার্জিকে দেওয়া হয়েছে৷ গ্রিন হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়া উৎপাদনের লক্ষ্য-কান্দলা বন্দরের কাছে এই জমিতে ৭০ লাখ টন গ্রিন অ্যামোনিয়া এবং ১৪ লাখ টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷ এই বন্দরটি কচ্ছ উপসাগরে অবস্থিত, যার কারণে এখান থেকে রফতানি করাও সহজ হবে৷ গ্রিন হাইড্রোজেন ইলেক্ট্রোলাইজিং জল দ্বারা উৎপাদিত হয়৷ এর জন্য পুনর্নবিকরণ শক্তি ব্যবহার করা হয়, তাই এর থেকে কার্বন নিঃসরণ হয় না৷ এটি ভারত সরকারের ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের’ অংশ৷