• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ, আইএমএ–র বৈঠক থেকে বের করা হল ৩ চিকিৎসককে

তাঁরা আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত । এবার উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ অন্য চিকিৎসকরা ক্ষোভের মুখে পড়লেন।

‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আইএমএ–র নির্বাচনী প্রস্তুতি বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হল ৩ চিকিৎসককে। তাঁদের নাম তাপস চক্রবর্তী, জয়া মজুমদার ও প্রিয়াঙ্কা রানা। রবিবার পার্ক সার্কাসে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)–র পশ্চিমবঙ্গ শাখার নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। বৈঠকের শুরুতেই ওই ৩ চিকিৎসককে ঘিরে গন্ডগোল শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শান্তনু সেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকরা।  মূলত, এই ঝামেলা দুটি লবির মধ্যে দ্বন্দ্ব বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ৩ চিকিৎসক ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার পরই বৈঠক শুরু করা হয়।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এদিন বৈঠক শুরুর আগেই ঝামেলা শুরু হয়। ওই ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ওই ৩ চিকি‍ৎসকের মধ্যে তাপস চক্রবর্তী আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন হাসপাতালে ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন তিনি সেখানে কেন গিয়েছিলেন এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই সব অভিযোগের মাঝেই তাঁকে আইএমএ–র পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। এই আবহেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইএমএ–র রাজ্য শাখার একাংশ। তাপসের পাশাপাশি জয়া ও প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন চিকিৎসকদের একাংশ। এই তিন জনই উত্তরবঙ্গ লবির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে।  বেশিরভাগ সময়ই নাম জড়িয়েছে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র। ইতিমধ্যেই এই লবির ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে রয়েছে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে হুমকি দেওয়া সহ ভয় দেখানোর অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁরা আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত । এবার উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ অন্য চিকিৎসকরা ক্ষোভের মুখে পড়লেন।

অপরদিকে চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বৈঠকে আসতেই তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে আইএমএ–র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠতের বিরুদ্ধে।