• facebook
  • twitter
Wednesday, 19 March, 2025

কৃষি ও নির্মাণ শ্রমিকরা কিডনির রোগে আক্রান্ত হতে পারেন

মণিপাল হাসপাতালের ডা. এইচ সুদর্শন বল্লালের মতে, ‘একটি উন্নত জীবনধারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো মূল সিকেডি কারণগুলিকে হ্রাস করতে পারে।

প্রতীকী চিত্র

গত ১২ মার্চ, বিশ্ব কিডনি দিবসে নেফ্রোলজিস্টরা দাবি করেছেন, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের (সিকেডি) বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এরাজ্যের মানুষকে। পশ্চিম বর্ধমানের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং মানুষের দীর্ঘমেয়াদী সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকা ও ক্রমাগত ডিহাইড্রেশনের কারণে বাড়ছে সিকেডি-র সমস্যা। পরিবেশ দূষণ আরেকটি মূল কারণ। বিশেষ করে চিমনির কাছাকাছি কাজ করা শ্রমিকদের কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

২০২১ সালে প্রকাশিত ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা অনুসারে, দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সিকেডি-র প্রাদুর্ভাব ১১.২ শতাংশ (২০১১-২০১৭) থেকে বেড়ে ১৬.৩৮ শতাংশ (২০১৮-২০২৩) হয়েছে।

নেফ্রোলজিস্টরা বলেছেন, বাংলায়, ক্রমবর্ধমান অজানা এটিওলজির সিকেডি, একটি উদ্বেগের বিষয়। বিশেষত কৃষি ও নিম্ন আয়ের সম্প্রদায়ের মধ্যে, অতিরিক্ত তাপ সহ্য করা, প্রতিদিনের খাদ্যে অত্যধিক লবণ গ্রহণ এবং দূষিত জল পান করার মতো সম্ভাব্য কারণগুলির সঙ্গে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থতা এবং মৃত্যু বেড়েছে।
এনকেডি-র প্রাদুর্ভাব এনএলএম-এর স্টাডি স্যম্পলের প্রায় ৭১ শতাংশ ছিল, যার মধ্যে বেশিরভাগই কৃষি শ্রমিক (৬৭.১৭ শতাংশ) এবং নির্মাণ শ্রমিক (৪৬.৪৬ শতাংশ)।

ইস্টার্ন কোলফিল্ডস-এর চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. নন্দিনী রায় চৌধুরী বলেন, ‘ অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করা সিকেডি-র সম্ভাবনা বাড়ায়। কয়লা শিল্পে আমরা দেখেছি, কয়লার ধুলো নির্গমনের কারণে নিউমোকোনিওসিসের মতো স্থায়ী রোগ সৃষ্টি হয়।’

মণিপাল হাসপাতালের ডা. এইচ সুদর্শন বল্লালের মতে, ‘একটি উন্নত জীবনধারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো মূল সিকেডি কারণগুলিকে হ্রাস করতে পারে। তবে অবশ্যই, তামাক ছেড়ে দেওয়ার মতো, সিকেডির বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২৩ সালে ১৩,৬৪২টি কিডনি প্রতিস্থাপন হলেও, এখনও প্রয়োজনের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে ভারত। এর মধ্যে ১,৮৫ ১ জনের ক্ষেত্রে, মৃত দাতাদের থেকে সংগৃহিত কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৭৫টি সরকারি কেন্দ্র-সহ ৬০০টি কিডনি প্রতিস্থাপন কেন্দ্র রয়েছে।