পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার মতো রিফ্রেশিং ভেষজ কিছু হয় না৷ পুদিনা পাতার জল গরমে শরীরে তরতাজা ভাব এনে দেয়৷ যে কোনও পানীয়তে মেশাতে পারেন এই পাতা৷ পুদিনা পাতা খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷ পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের সমস্যাকে দূরে রাখে৷
থানকুনি পাতা: স্বাদে তেতো হলেও শরীরের জন্য উপকারী থানকুনি পাতা৷ পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা৷ রোগের হাত থেকেও শরীরকে সুরক্ষিত রাখে এই পাতা৷ ফোলাভাব কমাতে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানকুনি পাতা খান৷
রোজমেরি পাতা: গন্ধের জন্য রোজমেরি পাতার চাহিদা সবচেয়ে বেশি৷ তবে, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও কম নয়৷ রোজমেরি পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে একাধিক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে৷ এটি বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে৷
জোয়ানের পাতা: জোয়ানের মতো এর পাতাও পুষ্টিতে ভরপুর৷ জোয়ানের পাতায় পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ রয়েছে৷ এটি ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে৷ যার জেরে দূরে থাকে ডায়াবেটিস৷ এছাড়া জোয়ানের পাতা মেটাবলিক রেট উন্নত করতে সাহায্য করে৷ তাই জোয়ানের পাতা চিবিয়ে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই৷ এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূর করতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে উপযোগী জোয়ানের পাতা৷
নিম পাতা: নিম পাতা, ওরে বাবারে, যা যম তেতো৷ ভাবছেন তো৷ কিন্ত্ত এই পাতাতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি৷ নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে৷ খালি পেটে নিম পাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ও আখের গুড় খেলে চমৎকার ফল পাবেন৷ এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে, যার জেরে ত্বকের সমস্যা কমে৷