• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নতুন রসনায় নববর্ষ

রসনায় শুভ নববর্ষ শুরু হোক খাঁটি বাঙালি আনা দিয়ে।

মসলা বেগুন (ছবি-Getty Images)

বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন জামা কাপড়, দোকানের হালখাতা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,আড্ডা আর অবশ্যই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। তাই রসনায় শুভ নববর্ষ শুরু হোক খাঁটি বাঙালি আনা দিয়ে।

আমের লস্যি

উপকরণ- এক কাপ পাকা আম(খোসা ছাড়িয়ে কুচি করা),পেস্তাকুচি,কাজুবাদাম কুচি, গোলাপের পাপড়ি, টকদই,বরফকুচি, স্বাদমতো চিনি।

প্রণালী- মিক্সিতে বা ঘুটনি দিয়ে ঘুঁটে নিয়ে আমের রস তৈরি করুন।আর এর সঙ্গে টকদই, স্বাদমতো চিনি এবং বরফ কুচি দিয়ে আবার একবার মিক্সিতে চালিয়ে নিন।এবার শরবত গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে পেস্তা এবং কাজুবাদাম কুচি ও গোলাপের পাপড়ি সাজিয়ে পরিবেশন করুন।চাইলে কিছু আমের কুচিও দিতে পারেন।

টক ডাল

উপকরণ- মটর বা মুসুর ডাল,কাঁচা আম,ফোড়ণের জন্য তেজপাতা,শুকনোলঙ্কা,কালো সরষে, সামান্য তেল,স্বাদমতো নুন ও চিনি, হলুদগুঁড়ো।

প্রণালী- আম চৌকো বা লম্বা যেমন খুশি আকারে কেটে ধুয়ে রাখুন।ডাল অল্প নুন এবং হলুদ দিয়ে কুকারে সেদ্ধ করে নিন প্রথমে।সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ডালে কাটা দিয়ে নেবেন।এরপর কড়াইতে তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা,তেজপাতা,কালো সরষে ফোড়ন দিন এবং এর মধ্যে সেদ্ধ করে রাখা ডাল দিয়ে আমগুলো দিয়ে ভাল করে ফোটান।দরকার মতো জল দিন।ডাল ফুটে উঠলে নুনের স্বাদ নিয়ে প্রয়োজনমতো মিষ্টি দিন এবং আম সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন টক ডাল।

দই কোপ্তা

উপকরণ- দই,ছোলার ছাতু,গরমমসলাগুঁড়ো,হিং, আদাবাটা,টমেটো কুচি,লঙ্কাগুঁড়ো,জিরে গুঁড়ো, বাদামবাটা,দুধ,নুন-মিষ্টি স্বাদ মত, সাদা তেল, এলাচগুঁড়ো।

প্রণালি-দই কিছুক্ষণ কাপড়ে বেঁধে রাখুন,যাতে বাড়তি জল ঝরে যায়।এবার এই দইয়ের সঙ্গে ছোলার ছাতু,নুন-মিষ্টি সামান্য গরমমসলার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেখে বলের আকারে গড়ে নিন।কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে গরম বলগুলো ভেজে নিন।আবার কিছুটা তেল গরম করে প্রথমে তেজপাতা এবং গোটা শুকনোলঙ্কা,হিং ফোড়ন দিন।এরপর একে একে আদাবাটা,জিরেগুঁড়ো,ধনেগুঁড়ো,শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো,স্বাদমতো নুন-মিষ্টি,টমেটোকুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে বাদামবাটা দিয়ে পরিমাণমতো জল দিন। ভালো করে ফুটলে এবং গা মাখা মাখা হলে কোপ্তাগুলো দিন।আঁচ কমিয়ে অল্প জলে গুঁড়োদুধ গুলে তার মধ্যে এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে কোপ্তার মধ্যে দিয়ে নামিয়ে নিন।

মশলা বেগুন

উপকরণ- বেগুন ১০টা,মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ৭-৮টা,টমেটো ৫-৬টা,রসুনবাটা(বারো কোয়া),আদাবাটা(১৫গ্রাম)মত,কাঁচালঙ্কা বেশ কয়েকটি কুচানো,নুন আন্দাজমতো,হলুদ গুঁড়ো আধ চা-চামচ,সরষের তেল,লঙ্কারগুঁড়ো,জিরে গুঁড়ো ১চা-চামচ,ধনে গুঁড়ো ১চা-চামচ,ধনেপাতা কুচি,গরমমসলাগুঁড়ো,চিনেবাদাম, সাদা তিল,নারকেল গুঁড়ো।

প্রণালি- লম্বা আকারের ছোট বেগুন নেবেন।বেগুনগুলো বোঁটা সমেত কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন।এরপর বেগুনের মাঝখান থেকে আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বিভাবে কিছুটা কেটে নিন।(দেখবেন যেন পুরো বেগুন কাটা না হয়ে যায়।)এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে প্রথমে অর্ধেক পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজে হালকা সোনালি রং ধরলে এর মধ্যে একে একে আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে আবার ভাজুন।রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে টমেটোকুচি দিয়ে দিন।সামান্য নুন দিন।এতে টমেটো নরম হয়ে যাবে।এরপর একে একে ধনেগুঁড়ো,হলুদগুঁড়ো,লঙ্কাগুঁড়ো,গরম মসলারগুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।মশলা ভাল কষানো হলে এবং কড়াইয়ের চারপাশ থেকে তেল ছাড়লে এই মশলা কড়াই থেকে নামিয়ে মিক্সিতে দিয়ে পিষে নিন।এবার কড়াই গরম করে শুকনো খোলায় সাদা তিল,নারকেল গুঁড়ো এবং লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভেজে নিয়ে মিক্সিতে পিষে নিন।বেগুনের মধ্যে এই বাদাম আর তিলের মিশ্রণ ভরে নিন।কড়াইতে আবার খানিকটা তেল গরম করে এই পুরভরা বেগুন ভেজে নিন।ঢাকা দিয়ে ভাজবেন।বেগুন সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।এরপর কারি তৈরির পালা।তার জন্য কড়াইতে সরষের তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিয়ে মসলার পেস্ট দিয়ে দিন।ফূটতে শুরু করলে এর মধ্যে পুরভরা ভাজা বেগুন এবং মিষ্টি দিয়ে ফুটতে দিন।ঝোল ঘন হয়ে এলে নামাবার আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন মসলা বেগুন।