মাল্টিকালচারাল রাজধানী দিল্লি শহরে প্রবাসী বাঙ্গালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। মূলত চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায় তাঁদের বসতি হলেও সারা দিল্লি জুড়েই ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা।বাঙালি ছাত্রছাত্রীও সংখ্যায় প্রচুর। তাই বাংলা নববর্ষে প্রবাসে বাঙ্গালি খাবারের সন্ধানে তাঁরা চলে যেতে পারেন এই রেস্তোরাঁগুলিতে।
সিটি অফ জয় (অলকানন্দা)
আরবল্লী রেঞ্জের কাছের এই রেস্তোরাঁটিতে লুচি,কষা মাংসের পাশাপাশি পেয়ে যাবেন সুক্তো বা মোচার চপের মত চিরাচরিত বাঙালি পদও।দুজনের জন্য খরচ প্রায় ১০০০টাকা।
আমার সোনার বাংলা(সিআরপার্ক)
চিত্তরঞ্জন পার্কের এই রেস্তোরাঁটি আলু পোস্ত আর মাছের ঝোলের জন্য খাদ্যরসিকদের কাছে বিশেষ খ্যাত।এছাড়াও পেয়ে যাবেন পঞ্চব্যঞ্জনে সাজানো বাঙালি থালি।হলুদ-আলো ও বাঙ্গালিয়ানায় সাজানো এই রেস্তোরাঁটিতে দুজনের জন্য খরচ মাত্র ৬০০টাকা।
বিজলি গ্রীল(বারাখাম্বা)
বারাখাম্বা রোডে বঙ্গ ভবনটি বিশেষ পরিচিত পর্যটকদের কাছে।অসাধারণ সুস্বাদু পদ পাবেন এই রেস্তোরাঁয়।বাঙ্গালির প্রিয় ডাব চিংড়ি আর মিষ্টি দই পেয়ে যাবেন এখানে।মাছের যেকোনো পদ পরিবেশন করে এই রেস্তোরাঁ- দুজনের জন্য খরচ ৮০০টাকা।
ওহ!ক্যালকাটা(নেহরু প্লেস)
মাল্টিচেন এই রেস্তোরাঁটি প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়।সত্যম সিনেমার বিপরীতে নেহরু প্লেসের এই রেস্তোরাঁটি মধ্যাহ্নভোজের জন্য আদর্শ।চালের পায়েস থেকে শুরু করে বাঙালি কোনও পদই বাদ নেই এই রেস্তোরাঁটিতে।দুজনের জন্য খরচ প্রায় ১৭০০টাকা।
সুরুচী (জনকপুরী)
দৈনিক ১২ঘন্টারও বেশি খোলা এই রেস্তোরাঁটিতে রিজনেবল দামে পাবেন বাঙালি ঘরের দৈনন্দিন পদ।এই রেস্তোরাঁটির মাটনরোল বিখ্যাত।আশ্চর্যজনক কম দামে খাসির মাংসের হরেক রকম পদ পাবেন এই রেস্তোরাঁতে। দুজনের জন্য খরচ ৫০০টাকা।