বেঙ্গালুরু, ৩ ফেব্রুয়ারি– সবে করোনা আতঙ্ক মাথা থেকে নামতে শুরু করেছে৷ এরই মধ্যে মাথায় চাপতে শুরু করেছে ‘বাঁদর জ্বর’ থুরি মাঙ্কি ফিভার৷ গত ১৫ দিনে কর্নাটকে মাঙ্কি ফিভার সংক্রমণ সিদ্দারামাইয়া সরকারের উদ্বেগ বাডি়য়েছে৷ কেবল একটি জেলাতেই মাঙ্কি ফিভার সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১২ জন রোগী৷ এছাড়া বাডি়তে চিকিৎসায় রয়েছে আরও অনেক রোগী৷
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কর্ণাটকের উত্তরা কান্নাড়া জেলায় মাঙ্কি ফিভার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে৷ চলতি বছর এই রোগে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মেলে গত ১৬ জানুয়ারি৷ তারপর গত ১৫ দিনে এই জেলায় ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে৷ যার মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি৷ অধিকাংশ রোগী সিদ্ধাপুর তালুক এলাকার৷
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত বাঁদরের কামড় থেকেই মাঙ্কি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়৷ সরাসরি মানুষের দেহে বাঁদরের কামড় হোক অথবা বাঁদরের কামড় বসানো ফল খেলেও এই রোগের সংক্রমণ ছড়ায়৷ উত্তর কান্নাড়া জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. নীরজ বি জানান, মাঙ্কি ফিভারে আক্রান্ত হলে তিন থেকে পাঁচ দিন অতিরিক্ত জ্বর থাকবে৷ এছাড়া গা-হাতে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং সঙ্গে সর্দি কাশি থাকবে৷
এই জ্বরে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উত্তরা কান্নাড়া জেলায় প্রশাসনের তরফে তৎপরতা দেখা দিয়েছে৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা বাডি়-বাডি় গিয়ে এই রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা গডে় তোলার চেষ্টা করছেন৷ বিশেষত, যাঁরা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় থাকেন তাঁদের বাঁদরের থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ বনকর্মীরাও এ ব্যাপারে সচেতনতা শুরু করেছেন৷ কারও মাঙ্কি ফিভারের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে বনকর্মীরা৷ গ্রাম সভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও স্বাস্থ্য অধিকারিকেরা এই রোগের বিষয়ে একাধিক বৈঠক করছেন এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা. নীরজ বি৷