• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত খান এই ৪ ভেষজ।

কলকাতা:- ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা-সহ বেশ কিছু পরিচিত অসুখ দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এ সময় ক্রমাগত ভুগতে থাকেন। তাই এই সময় স্বাস্থ্যের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। শক্তিশালী ইমিউনিটি সিস্টেমের সাহায্যে অনেক ধরনের সংক্রমণ এবং গুরুতর রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

কলকাতা:- ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা-সহ বেশ কিছু পরিচিত অসুখ দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা এ সময় ক্রমাগত ভুগতে থাকেন। তাই এই সময় স্বাস্থ্যের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। শক্তিশালী ইমিউনিটি সিস্টেমের সাহায্যে অনেক ধরনের সংক্রমণ এবং গুরুতর রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভেষজ উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। এমনই কয়েকটি ভেষজের উল্লেখ করা হল, যেগুলি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের আশঙ্কাও কমায়।
•অশ্বগন্ধা-
আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ভেষজ অশ্বগন্ধা। যুগ যুগ ধরে মানুষের নানা উপকারে লাগছে অশ্বগন্ধা। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ, যে কারণে বিভিন্ন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে। অশ্বগন্ধা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রদাহের প্রবণতা কমায়, মানসিক চাপ ও বয়সজনিত নানা সমস্যা দূর করে। এই ভেষজে জীবাণুনাশক গুণও আছে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন।
•শুকনো আদা-
শুকনো আদার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আমাদের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এতে ভিটামিন এ, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, ক্যালশিয়াম এবং জিঙ্কও রয়েছে। এই সব গুণই মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে  সহায়তা করে। এ ছাড়াও, শুকনো আদায় থাকা জিঞ্জেরল নামক যৌগ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
•অর্জুন গাছের ছাল-
অর্জুন গাছের ছালে ভরপুর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। অর্জুনের ছালে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, পটাশিয়ামের মতো খনিজ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি ভাইরাল ইনফেকশনের উপসর্গ যেমন সর্দি, জ্বর, শরীরে ব্যথা ও সংক্রমণও দূর করে।
•হলুদ-
ভারতীয় খাবারে ব্যবহৃত অতি পরিচিত মশলা হলুদ। আবার এতে প্রচুর ঔষধি গুণও রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে হলুদে থাকা কারকিউমিন যৌগে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ ছাড়াও, কারকিউমিনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যে কারণে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।