দিল্লি, ৩০ মে– তারা সকলে দেশের গর্ব। দেশের জন্য লড়াই করে পুরুস্কার আনা আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। অথচ তাদের সঙ্গেই তাদের দেশের পুলিশ যে ব্যবহার করছে তা সত্যি লজ্জাজনক। রবিবার রাস্তায় ফেলে পেটানো হলেও নিজেদের স্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরতে রাজি নয় তারা। মঙ্গলবার সেই আন্দোলনরত কুস্তিগিররা আরও ঝাঁঝ বাড়িয়ে ঘোষণা করলেন, এদিন সন্ধে ৬টায় তাদের প্রতি যে অসম্মান করা হয়েছে তার প্রতিবাদে তাদের সন্মানসূচক সমস্ত পদক হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটে ভাসিয়ে দেবেন তারা ।
সত্যিই যদি পরিস্থিতি সেইদিকে গোড়ায় তাহলে তা দেশের সরকার তথা শাসকদল বিজেপির জন্য কতটা অস্বস্তির হবে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটরা জানিয়েছেন, সন্ধেবেলা আরতির সময়ে হরিদ্বারের ঘাটে তাঁদের পাওয়া মেডেলগুলি গঙ্গায় ভাসাবেন তাঁরা। তারপর সেখান থেকে ফিরে যাবেন দিল্লিতে। আর তারপরই শুরু হবে পরবর্তী আন্দোলন অনশন। ইন্ডিয়া গেটের সামনে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু করবেন আমরণ অনশন।
প্রায় কয়েক মাস চলছে কুস্তিগিরদের এই আন্দোলনের। রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কুস্তিগিররা। ক্রমে সেই প্রতিবাদে শামিল হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবাদের সঙ্গে জুড়েছেন নানা বিভাগের খেলোয়াড়রা। এতদিন মেনস্ট্রিম খেলোয়াড়রা কিছু না বললেও এবার কুস্তিগিরদের খোলা সমর্থন জানিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় সুনীল ছেত্রীও।
রবিবার যখন নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন সেদিকে মিছিল নিয়ে গিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। যাঁরা অলিম্পিক থেকে এশিয়াড-সহ নানান আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের ত্রিবর্ণ পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। ওদিকে যখন সেঙ্গোলের সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন দিল্লির রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছে কুস্তিগিরদের। যাকে লজ্জার ভারতের ছবি হিসাবে অভিহিত করেছে বিরোধীরা।
আর এরপরই আন্দোলনকে আরও বড় মাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চান আন্দোলনের মুখ সাক্ষী, বজরং, ভিনেশরা।