• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

রোগ সারানোর নামে আশ্রমে কিশোরকে বলি দিলেন মহিলা পুরোহিত

কটক, ৩১ জুলাই– রোগ সারাতে কিশোর পুত্রকে আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। কিন্তু রোগ সারানো তো দূর তাকে বলিই দিয়ে দিলেন ওই আশ্রমের মহিলা পুরোহিত। এই কাজে ওই মহিলাকে সাহায্য করেছে তার তিন ছেলে। নরবলির অভিযোগে পুলিশ ওড়িশার তুসারা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ঋতাঞ্জলি বাগ নামে ওই মহিলা পুরোহিতের পাশাপাশি তাঁর তিন পুত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ

কটক, ৩১ জুলাই– রোগ সারাতে কিশোর পুত্রকে আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। কিন্তু রোগ সারানো তো দূর তাকে বলিই দিয়ে দিলেন ওই আশ্রমের মহিলা পুরোহিত। এই কাজে ওই মহিলাকে সাহায্য করেছে তার তিন ছেলে। নরবলির অভিযোগে পুলিশ ওড়িশার তুসারা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ঋতাঞ্জলি বাগ নামে ওই মহিলা পুরোহিতের পাশাপাশি তাঁর তিন পুত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রোগ সারিয়ে দেওয়ার নামে ১৪ বছর বয়সি এক বালককে বলি দেন ওই চার অভিযুক্ত।

ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ওড়িশার কিয়াকত থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবকের মা। পুলিশের কাছে তিনি জানান, তাঁর ছেলে বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিল। সেরে না ওঠায় ২২ জুলাই ঋতাঞ্জলির আশ্রমে ছেলেকে নিয়ে যান তিনি। মহিলার দাবি, আচার-অনুষ্ঠান করে ছেলের রোগ সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঋতাঞ্জলি। সারা রাত ধরে আচার-অনুষ্ঠান চলবে তা জানিয়ে ১৪ বছর বয়সি যুবকের মাকে আলাদা ঘরে ঘুমোতে যাওয়ার নির্দেশ দেন মহিলা পুরোহিত।

পরের দিন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আশ্রমের কোথাও তাকে খুঁজে পাননি যুবকের মা, থানায় গিয়ে এমনটাই দাবি করেন তিনি। কিন্তু মহিলার কথা শোনার পরেও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি সেখানকার পুলিশকর্মীরা। গ্রামবাসীরা পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে টনক নড়ে পুলিশের। তার পরে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে তারা। বারিনি জঙ্গল থেকে যুবকের পচাগলা দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের দেহের নীচের অংশ মেলেনি। উপরের অংশে পচন ধরেছিল। দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। থানার নিকটবর্তী রাস্তা ঘিরে ফেলেন তাঁরা। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেয় পুলিশ। তার পর রাস্তা থেকে সরে যান গ্রামবাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা পুরোহিত এবং তাঁর তিন পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।