ডাক্তারি মতে গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, গর্ভাবস্থার ২৭ সপ্তাহে গর্ভপাত করা যায় না। এই সময়ে গর্ভপাত করানো মেয়েটির স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর বলে জানিয়েছে কোর্টের গঠন করা একটি মেডিক্যাল বোর্ডও। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমবিএ পড়ুয়া ছাত্রীটি জানিয়েছেন, এই সময় তিনি পড়াশোনা করতে চান। তাই ঝুঁকি নিতে রাজি। এর পরেই কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি ভি জি অরুণ তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছেন।
মেয়েটির দাবি অনুযায়ী, সহপাঠীর সঙ্গে সহবাসের সময় গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। গর্ভনিরোধের ব্যর্থতার জন্য তিনি এখন মা হতে রাজি নন। ছাত্রীটির কথায়, গত ২৫ অক্টোবর তিনি প্রথম জানতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা। পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যার জন্য অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে ডাক্তার তাঁকে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করতে বললে সন্তানধারণের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তরুণী।