মুখ গোমড়া আকাশের, হানা দিতে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়

আর সময় মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় নাকি হানা দিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়৷ নিম্নচাপ ক্রমেই গভীর নিম্নচাপে বদলে যাচ্ছে৷ আর সেই সঙ্গেই আবহাওয়ার ভোল বদলাচ্ছে৷ হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে, আর ৪৮ ঘণ্টায় বড় রদবদল হবে আবহাওয়ায়৷ বাড়বে তাপমাত্রা, শীত কার্যত উধাও হতে পারে৷ বাংলায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আছডে় পড়লে শীতের দফারফা হবে৷
তার আগামেই নাকি শীত উধাও৷ উত্তুরে কনকনে হাওয়ার তেজ নেই, বরং সকাল হলেই মেঘলা আকাশ৷ আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা নিম্নচাপে বদলে গেছে৷ এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তরপশ্চিম দিকে৷
নভেম্বর ৩০ তারিখের মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে বদলে যাবে৷ ধীরে ধীরে তা ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝডে়র চেহারা নেবে৷ এই ঘূর্ণিঝডে়র নাম মিগজাউম দিয়েছে মায়ানমার৷ আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জন্ম হবে ঘূর্ণিঝডে়র৷ ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝডে়র৷
নভেম্বরের শেষ থেকে উপকূলের এলাকাগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে৷ ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে৷ ডিসেম্বর ১ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে হাওয়ার বেগ বাড়বে৷ সাগর সংলগ্ন উপকূলের এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে৷
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাবে বঙ্গে শীতের দফারফা হবে৷ এই ঘূর্ণিঝড় বাংলার দিকে আসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যে৷ গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের শিরশিরানি কিছুটা কমেছে৷ আগামী কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা উপরে থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে এই ধরনের ঝড় তৈরি হয়৷ সাধারণত নিম্নচাপ থেকে জন্ম হয় ঘূর্ণিঝডে়র৷ গত কয়েক দশকের পর্যবেক্ষণে ধরা পডে়ছে, বঙ্গোপাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধির গড় হার অনেকটাই বেশি৷ সাধারণত সমুদ্র উপকূলবর্তী জায়গাগুলোতে গরম বাড়ছে৷ ফলে ঘূর্ণিঝড় তৈরির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে৷