ভদোদরা, ১২ ডিসেম্বর– এক এফআইআরে দু’বার গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে। আর এরপরই এই প্রশ্নে গুজরাত পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল । সোমবার তৃণমূলের ৬ সাংসদের প্রতিনিধি দল যায় নির্বাচন কমিশনে। সেখানে কমিশনকে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বাংলার শাসকদল।
সাকেতকে গ্রেফতার করে জনপ্রতিনিধি আইন লঙ্ঘন করেছে গুজরাত পুলিশ। এমন অভিযোগ তুলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়রা বলেছেন, একই এফআইআরে একবার জামিন পাওয়ার পর কীভাবে দ্বিতীয়বার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করতে পারে?
মোরবি সেতু বিপর্যয়ের সময়ে একটি টুইট করেছিলেন সাকেত। তার ভিত্তিতেই গত ৫ ডিসেম্বর রাতে গুজরাত পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ জয়পুর বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছিল আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট সাকেতকে। সেই সময়ে গুজরাত পুলিশ ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কারণ ৮ ডিসেম্বর গুজরাতের ফল বেরিয়েছে। নতুন সরকার শপথ না নেওয়া পর্যন্ত কমিশনের অধীনেই থাকবে পুলিশ।
তৃণমূলের এদিনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, প্রতিমা মণ্ডল, মৌসম বেওনজির নুরও। সৌগত রায়রা এও বলেন, সাকেতকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল আমদাবাদ পুলিশ। জামিন পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করে মোরবি পুলিশ।কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, গুজরাত পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হবে।