লখনউ, ১৪ এপ্রিল – আসাদ আহমেদকে এনকাউন্টার না করে জীবিত অবস্থায় কেন আটক করা হল না তা নিয়ে শোরগোল দেশে। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদকে কেন জীবিত ধরতে ব্যর্থ হল প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। পুলিশের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, আসাদকে লক্ষ্য করে মোট ৪২টি গুলি চালানো হয়েছিল। তবে খতম নয়, জীবিত অবস্থাতেই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদকে ধরতে চেয়েছিল পুলিশ। অন্যদিকে, ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারবেন না আতিক আহমেদ, জানিয়ে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশে এনকাউন্টারে খতম করা হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদ-কে। তাঁর সহকারী গুলামকেও খতম করে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, “বাইকে চেপে পালাচ্ছিল আসাদ ও তাঁর সহকারী গুলাম। পুলিশ তাদের ধরার চেষ্টা করে। পুলিশের গাড়ির চালককে ওই বাইক ওভারটেক করতে যায় এবং পলাতক আসাদ ও গুলামকে থামতে বলা হয়, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বাইক ঘুরিয়ে কাঁচা রাস্তায় ঢুকে যায়। ততক্ষণে পুলিশের অন্য একটি দল আসাদ ও গুলামকে ঘিরে ধরে। বাইকের চাকা পিছলে একটি গাছের নীচে পড়ে যায়।”
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বললেও আসাদ ও গুলাম কথা শোনেননি। বরং গাছের পিছনে আশ্রয় নিয়ে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও গাড়ি থামিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়। ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে ঢুকে আসাদ ও গুলামকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। কিন্তু আসাদ ও গুলাম পুলিশদের মারতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। বাধ্য হয়েই পুলিশ গুলি চালায়। কিছুক্ষণ এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পর অপর প্রান্ত থেকে গুলি চলা বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সামনে গিয়ে দেখতে পায়, আহত হয়েছে আসাদ ও গুলাম।
পুলিশের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, গুলি লাগার পরও জীবিত ছিল আসাদ ও গুলাম। তাদের সঙ্গে সঙ্গে দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিতসকেরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে সূত্রের খবর, পুত্রের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার অনুমতি পাননি আতিক। শুক্রবারই কবরস্থ করা হবে মৃত আসাদ ও গুলামকে। কিন্তু ছেলের কবরে মাটি দিতে পারবেন না আতিক।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টার নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট। তিনি বলেন, “দেশের বিচারব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিরোধী এই এনকাউন্টারের নীতি। কোনও অপরাধই ক্ষমার যোগ্য নয়। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়া এনকাউন্টার অনৈতিক ।”