দিল্লি, ২২ জুলাই –পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রসঙ্গ তুলে সেদিন তৃণমূলকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কথায়, “বাংলায় মেদিনীপুর, ডেবরায় আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলা। মোমবাতি মিছিলকারীরা কোথায়? কেউ কোনও কথা বলছেন না। সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন।”
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিশানা করে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “মমতা সরকারের মমতা কোথায়? কী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক। ভয়ের আবহে রয়েছেন বাংলার মহিলারা।” তিনি বলেন, হাওড়ার পাঁচলায় মহিলাকে নির্যাতন করা হয়েছে। দুই মহিলাকে মারধর করে অর্ধনগ্ন করা হয়েছে মালদায়। কোথায় মমতা ? কোথায় তদন্ত ?
পাশাপাশি কংগ্রেসকেও একহাত নিয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর। অনুরাগ ঠাকুরের কথায়, “বাংলায় আদিবাসী মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধি নীরব কেন?”
তিনি বলেন, “মণিপুরে কংগ্রেসের আমলে আরও অনেক বেশি নির্যাতিত হতেন মহিলারা।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কড়া ভাষায় বিবৃতি দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, “সংসদে কেন্দ্র মণিপুর ইস্যুতে প্রশ্ন নিতে রাজি। তাহলে বিরোধীদের ভয় কীসের?”
অনুরাগ ঠাকুর একে একে বিরোধী রাজ্যগুলিকে লক্ষ্য করে তোপ দাগেন। রাজস্থান ও বিহারের নারীঘটিত অপরাধ নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, “বিহারের বেগুসরাইয়ে নির্যাতিত মহিলা। অথচ নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদব নীরব।” রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে আক্রমণ করেন অনুরাগ বলেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের কথা বলায় মন্ত্রীকেই বরখাস্ত করেছেন অশোক গেহলট। কারণ তিনি বলেছেন, রাজ্যে মহিলাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা ঠিক নয়। “নারী নির্যাতনে শীর্ষে রাজস্থান। একের পর এক লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে সেখানে। নারী নির্যাতন দেখেও চুপ কেন মুখ্যমন্ত্রী? তিনি দায় এড়াতে পারেন না।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়েছেন মহিলাদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রতিটি রাজ্যকে।